সংবাদ সারাদেশ

নতুন নামে সাফারি পার্কের যাত্রা শুরু

পুরো মেরামত শেষ না হলেও পর্যটন মৌসুম বিবেচনায় আংশিক খুলো দেওয়া হলো গাজীপুরের সাফারি পার্ক। তবে বিনোদন কেন্দ্রটি ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক’ নাম থেকে বদলে ‘সাফারি পার্ক, গাজীপুর’ নতুন নাম দেওয়া হয়েছে।

এর আগ গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিনোদন কেন্দ্রটিতে ব্যাপক ভাঙচুর-লুটপাটের পর থেকে জীববৈচিত্র্যসমৃদ্ধ পার্কটি বন্ধ ছিল।

শুক্রবার সাময়িকভাবে দর্শনার্থীদের উপযোগী করে পার্কটি খুলে দেওয়া হয়।

সহকারী বন সংরক্ষক পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্কটি আক্রান্ত হওয়ায় তিন মাস ১১ দিন বন্ধ ছিল। এসময় মেরামত কাজ পুরোপুরি শেষ না হলেও পর্যটন মৌসুম বিবেচনায় দর্শনার্থীদের উপযোগী করে পার্কটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, পাঁচ আগস্ট পার্কটিতে হামলা চালিয়ে মূল ফটক, শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল, প্রাণী জাদুঘর, পাখিশালা ও পার্ক অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। লুটপাট করা হয় নানা সরঞ্জাম। এমন বাস্তবতায় পার্কটি বন্ধ রাখা হয়। টানা মেরামত কাজ করে খুলে দেওয়ার খবরে পর্যটক আসতে শুরু করেছেন।

তিনি জানান, সেদিন পার্কে ভাঙচুর ও লুটপাটে প্রায় আড়াই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ফলে ওই দিনই অনির্দিষ্টকালের জন্য এটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর টানা সংস্কারকাজ চালানো হয়েছে। কিছু কাজ এখনও শেষ হয়নি।

এখন থেকে পার্কটি নিয়মিত খোলা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, পার্কের মূল ফটকসহ বিভিন্ন অংশের ইজারা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় পার্কের কার্যক্রম চলবে। সাফারি পার্কের বন্ধ থাকা চারটি বিভাগ ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম, প্রজাপতি কর্নার, ফেন্সি ডার্ক গার্ডেন ও শিশু পার্ক সংস্কারকাজ শেষে শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের বড় রাথুরা মৌজা এবং সদর উপজেলার পীরুজালী ইউনিয়নের চার হাজার ৯০৯ একর বনভূমি ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত এ সাফারি পার্ক। এর মধ্যে তিন হাজার ৮১০ একর এলাকাকে সাফারি পার্কের মাস্টার প্ল্যানের আওতাভুক্ত করা হয়েছে।

গত পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় পার্কটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এর মূল ফটক, শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল, প্রাণী জাদুঘর, পাখিশালা, পার্ক অফিসসহ বিভিন্ন খাদ্যের দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। লুটপাট করা হয় খাদ্য বিক্রির দোকানের মালামাল, বৈদ্যুতিক মোটর, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা, চেয়ার, টেবিলসহ নানা সরঞ্জাম। ভাঙচুরে পার্ক অফিসের সব কটি কক্ষের জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙা হয়েছে রেস্ট হাউসের জানালার কাচ ও পর্যবেক্ষণে ব্যবহৃত দুটি জিপ গাড়ি।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button