![](https://mohona.tv/wp-content/uploads/2024/12/সংস্কার-উদ্যোগে-বিশ্বব্যাংকের-সহায়তা-অব্যাহত-থাকবে-780x470.webp)
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী আবাসিক পরিচালক আবদুলায়ে সেক।
আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন। আগামী জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাংক থেকে অবসরে যাচ্ছেন তিনি।
সাক্ষাতে অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বব্যাংক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ভৌত অবকাঠামো, জলবায়ু সহিষ্ণুতা, সেবা পদ্ধতি ডিজিটালাইজেশন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাখাতের উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহায়তা করায় আবদুলায়ে সেককে ধন্যবাদ জানান।
বাংলাদেশে সবুজ অর্থায়ন ও নগর উন্নয়নে গতকাল রোববার বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের দুটি ঋণচুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে একটি চুক্তির আওতায় কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডোর বরাবর জলবায়ু-সহিষ্ণু এবং নারী-বান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন করা হবে।
অন্য চুক্তির আওতায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা দেওয়া হবে, যা চলতি মাসের মধ্যে জাতীয় কোষাগারে ছাড় করা হবে। ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন সহায়তা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে অবদান রাখছে।
প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী আবাসিক পরিচালকের সুস্থ-সুন্দর অবসর জীবন এবং তার পরিবারের জন্য সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়ক ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।