পদ্মায় শেষ ফেরি
বহুল আলোচিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর মাওয়া জাজিরা নৌরুটে আর চলবেনা কোন ফেরি। থাকবেনা ফেরি পার হওয়ার জন্য যানবাহনের দীর্ঘ শাড়ি আর মানুষের হুরোহুরি। সেই সোথে অবসান হবে জীবনের ঝুকি নিয়ে দুই পারের মানুষের আসা যাওয়া।
ফেরির মাধ্যমেই আপনজনের কাছে কিংবা প্রয়োজনে ছুটে চলা মানুষগুলো আর ভীর জমাবেনা মাওয়া-জাজিরাকে যুক্ত করা নৌরুট শিমুলিয়া আর ওপারের মাঝির কান্দি ঘাটে। শুক্রবার ২৫ জুন ২০২২ সন্ধ্যে পৌনে ৬টায় শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ ফেরি ‘কুঞ্জলতা’। আর ওপারের মাঝিরকান্দি থেকে ছেড়ে আসা শেষ ফেরির নাম ছিল ‘বেগম রোকেয়া’। পুব আকাশে সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ে সন্ধ্যে গড়িয়ে রাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো সময়টুকু যেন শেষ সাক্ষি হয়ে থাকলো। পদ্মার তীরে তখন অনেক মানুষের ভীর আর মাঝ পদ্মায় মৃদুমন্দ বাতাসের দোলাচল। কোথাও তীব্র কোথাও হালকা ঢেউয়ে পড়া বিদ্যুতের অল্প আলো আর নদীর কলকল ধ্বনি যেন জানান দিচ্ছে বিদায়ের সুর।যেন গগনবিদারী শব্দ তুলে কুঞ্জলতা আর বেগম রোকেয়ায় বাজল করুণ প্রস্থান ঘণ্টা।
নদীর ওপারে মাঝিরকান্দি ঘাটের গল্পটাও একই রকম। অনেকটাই আবেগ দিয়ে ঘেরা। এ পার থেকে যখন কুঞ্জলতা পস্থান ঘটিয়ে ওপারের উদ্দেশ্যে পদ্মায় ভাসছে তখন ঘরির কাটা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার ঘরে,ঠিক তখন শিমুলিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করে মাঝিরকান্দিতে নোঙর করা ফেরি ‘বেগম রোকেয়া’। শেষ বারের মতো এই দুটি ফেরির ঘাট ছাড়ার মধ্য দিয়ে পদ্মার মাওয়া-জাজিরা নৌরুটে ফেরি যুগের দৃশ্যত অবসান ঘটল।