বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে : শেখ হাসিনা
বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে সরকারকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে মিতব্যয়ী হতে হচ্ছে, বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, কোভিডের মতো চলমান সংকট মোকাবিলায়ও সক্ষম হবে বাংলাদেশ। সকালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দ্বিতীয় চুল্লি স্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। রূপপুরে সফলতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও জানান সরকার প্রধান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটে চুল্লি বসানোর এক বছরের মধ্যে বসলো দ্বিতীয় ইউনিটেও। রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা চুল্লিপাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির হৃৎপিণ্ড হিসেবে পরিচিত। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর জানান, চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে সব ধরনের পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন শেষ হবে।
রূপপুরে ব্যবহার হচ্ছে রাশিয়া উদ্ভাবিত সর্বশেষ প্রযুক্তির থ্রিজি প্লাস ভিভিইআর ১২০০ মডেলের রি-অ্যাক্টর। আাগামী বছর যাতে প্রকল্পে ইউরেনিয়াম পৌঁছায় সে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করবে দেশটি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই রূপপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। পরিবেশ ঝুঁকির শঙ্কাও শূন্যের কোটায়। এখানে কেবল উন্নয়ন এবং মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনায় রাখা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, বিদ্যুতে সফলতা থাকলেও চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে মিতব্যয়ী হচ্ছে সরকার। সমালোচকদের কথায় কান না দিয়ে, পরিস্থিতি সফলভাবে মোকাবিলা করা হবে।
২০২৩ সালে প্রথম এবং পরের বছর উৎপাদনে যাবে রূপপুরের দ্বিতীয় ইউনিট। মিলবে ২ হাজার ৪শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা দেয়ার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।