শ্রীপুরে গণপিটুনিতে নিহত ১,আহত ৪

আলফাজ সরকার আকাশ, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুর শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের বেড়াবাড়ী গ্রামে গণপিটুনিতে সুলতান উদ্দিন নামের একজন মারা গেছেন। স্থানীয়দের দাবী, রমিজ উদ্দিনের বাড়ীতে ডাকাতি করার সময় গণপিটুনিতে ওই লোক মারা যান। গত রাত দেড়টার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
নিহত সুলতান উদ্দিন পাশ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়ণপুর গ্রামের হাসু মুন্সির ছেলে। তিনি রাজাবাড়ি এলাকার ধলাদিয়া এসিআই গেইট নামক স্থানে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, গতরাতে রমিজ উদ্দিনের বাড়িতে থাকা অটোরিকশা রাখার কক্ষে ঢুকে অজ্ঞাত কয়েকজন। এসময় বাড়ির মালিকদের ডাক চিৎকারে আশপাশের জনতা এগিয়ে আসে। পরে ডাকাত দলের সদস্যদের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এসময় জনতার হাতে আটক হয় সুলতান। পরে গণপিটুনিতে সে নিহত হয়। সংঘর্ষের সময় তার সাথে থাকা শহিদুল্লা এবং আঃ বাতেনসহ অন্যান্য ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক রমিজ উদ্দিনের ছেলে মোশাররফ সহ ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাড়ির মালিকের দাবী, বাড়ির সকল ঘরের দরজায় বাইরে থেকে শিকল লাগিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করে। এসময় তাদেরকে প্রতিরোধ করতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা জানে বেঁচে গেলেও ৩জন গুরুতর আহত হয়। জনতার আওয়াজ পেয়ে তারা পালিয়ে যেতে চাইলে সুলতানকে আটক করে গণপিটুনি দেওয়া হয়।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আসাদুজ্জামান বাবু জানান, রাত দেড়টার দিকে ওই বাড়ির একটি কক্ষে ঢুকে কয়েকজন ব্যক্তি। পরে পাশের রুমে থাকা লোকজন জেগে গেলে তারা ডাক চিৎকার দিলে ডাকাতদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সোহেল দ্বানিজসহ ৪জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে গাজীপুর ও ঢাকার হাসপাতালে পাঠায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম। তিনি সাংবাদিকদের জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত মনে হচ্ছে চুরি সন্দেহে গণপিটুনিতে একজন মারা গেছেন। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button