হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে মঙ্গলবার ভূমিকম্পে ৪ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ধ্বংসস্তুপের ভেতর আরো অনেকে আটকা পড়ে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর এএফপি’র।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৯। পোর্ট-অ-প্রিন্সের ১৮৫ মাইল পশ্চিমে গ্র্যান্ড আনজ বিভাগ উপকূলের পাঁচ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় সময় ভোর পাঁটার পরপরই এ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
হাইতি রেডক্রস জানায়, এখনো যারা ধ্বংসস্তুপের ভেতরে আটকা পড়ে রয়েছে তাদের সন্ধানে জরুরি বিভাগের কর্মীরা কাজ করছে। সংস্থাটি আরো জানায়, ‘জীবিতদের সন্ধানে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
খবরে বলা হয়, হতাহতদের বেশির ভাগই জেরিমি শহরের সেন্ট হেলেনের পার্শ্ববর্তী দরিদ্র এলাকার বাসিন্দা। এএফপি’র এক ফটোগ্রাফার সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ির ফাটল দেখেছেন।
গ্র্যান্ড আনজের নাগরিক সুরক্ষা প্রধান ক্রিস্টিন মনকুয়েলা এএফপি’কে বলেন, নিহতদের তিনজন একই পরিবারের সদস্য। ঘর ধ্বসে পড়ায় তারা প্রাণ হারায়।
১৯ বছর বয়সী কাতিয়ানা পিয়েরে বলেন, ‘আমি কি করবো জানি না।’ তিনি এ ভূমিকম্পে তার স্বামী ও ছোট বোনকে হারিয়েছেন। ‘আমি সবকিছু হারিয়েছি।’ ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩৬ জন আহত হয়েছে। ক্যারিবীয় এ দেশটিতে প্রায় ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানতে দেখা যায়।
২০১০ সালে দেশটিতে রিখটার স্কেলে ৭.০ মাত্রা একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে দুই লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ভয়াবহ এ ভূমিকম্পের আঘাতে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় এবং ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।