আগামী ২৮ জানুয়ারি ৪৮ তম কলকাতা বইমেলা ২০২৫ এর উদ্বোধন। গতকাল শুক্রবার এর লোগো উদ্বোধন হয়। এবারই প্রথম দীর্ঘ ২৮ বছরের মধ্যে ২০২৫ সালের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলায় অনুপস্থিত থাকবে বাংলাদেশ। তবে এই অনুপস্থিতির কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
১৯৯৬ সাল থেকে শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতিবেশী কলকাতা শহরের বইমেলার প্রতিটি সংস্করণে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনা নিজে মেলায় যোগ দিয়েছিলেন ওই বছর বাংলাদেশ ছিল থিম কান্ট্রি। ২০০১ এবং ২০০৮ এর মধ্যে এই ঐতিহ্যের কোন বিরতি ছিল না।
এই ব্যাপারে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চ্যাটার্জী জানান, আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করছে না- এটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরা অপেক্ষা করছি, যদি আগামী দিনে এই জটিলতা কমে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের যথোপযুক্ত সরকারি নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি। যে পরিস্থিতির মধ্যে ভারত এবং বাংলাদেশ রয়েছে সেখানে সরকারি কোন নির্দেশনা ছাড়া আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না।
বাংলাদেশ বইমেলায় অংশগ্রহণ না করলে কলকাতার পাঠকরা বাংলাদেশি বইয়ের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হবেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে ত্রিদিব চ্যাটার্জী বলেন, এটাই তো স্বাভাবিক। যেমন গত ৪৮ বছরে জার্মানি কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণ করতে না পারার কারণে পাঠকরা জার্মান সাহিত্যকে কাছে পায়নি। ঠিক তেমনভাবেই বাংলাদেশও যদি না আসতে পারে তবে কলকাতার পাঠকদের কাছে বাংলাদেশের সাহিত্য শূন্যতা সৃষ্টি করবে।
বইমেলায় এবারের ‘থিম কান্ট্রি’ জার্মানি। এখন পর্যন্ত বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, স্পেন, পেরু, ইতালি, আর্জেন্টিনা ও কলম্বিয়া রয়েছে বলে জানা গেছে। আর ভারতীয় রাজ্য প্রকাশনা সংস্থাগুলোর মধ্যে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাটও অংশ নেবে।
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড’র আয়োজিত ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা শহরটির সল্টলেকে অনুষ্ঠিত হবে। বিগত বছরের মতো এবারও বইমেলার উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।