উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন ‘ব্যাপক হারে বাড়ানোর’ আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অস্ত্র কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি এই আহ্বান জানান। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে যৌথ সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। সোমবার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
গত সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ এক সামরিক বৈঠকে কিম যুদ্ধের প্রস্তুতি বাড়ানোর পর শুক্রবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিনি এসব অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেন।
উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’ জানায়, কিম এ দুইদিন কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট লাঞ্চার শেলের পাশাপাশি সাঁজোয়া যুদ্ধযান তৈরির কারখানা ঘুরে দেখেন।
কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র কারখানা পরিদর্শনকালে কিম তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। কারখানাটি অস্ত্র উৎপাদনে নিখুঁতভাবে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করায় তিনি তার সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং অস্ত্রগুলো ধাপে ধাপে আরো আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে।
কেসিএনএ জানায়, ‘তিনি ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের বিদ্যমান সক্ষমতাকে আরো বৃদ্ধি করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নির্ধারণ এবং যুদ্ধের প্রস্তুতিকে ‘বেগবান’ করার ক্ষেত্রে কারখানার ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।’
কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কিম শেলের উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন এবং কারখানা পরিদর্শনকালে তিনি ব্যক্তিগতভাবে একটি সাঁজোয়া যুদ্ধযান চালান।
আগামী ২১ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বার্ষিক উলচি ফ্রিডম শিল্ড (ইউএফএস) সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি গ্রহণের সময় কিম এসব অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করলেন।
উত্তর কোরিয়া এ ধরনের মহড়াকে একটি আগ্রাসনের মহড়া হিসেবে দেখে থাকে এবং তারা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এমনটা ঘটলে তার ‘দাঁতভাঙ্গা’ জবাব দেওয়া হবে।