চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৭৪ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৬০ কোটি ডলার।
ফলে চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনেও প্রবাসী আয় আসার গতি গত আগস্টের মতোই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডলারের বেশি দাম নেওয়ায় বেসরকারি খাতের ১০ ব্যাংককে সম্প্রতি নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে বেশির ভাগ ব্যাংক এখন ঝুঁকি নিয়ে প্রবাসী আয়ে ডলারের বেশি দাম দিচ্ছে না। এতে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৫ দিনে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় দেশে এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ও বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৫ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৯ লাখ
৯০ হাজার ডলার।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে প্রবাসী আয় আসে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং আগস্টে প্রবাসী আয় আসে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফলে এক মাসের ব্যবধানে প্রবাসী আয় কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।
ব্যাংকাররা বলছেন, বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ডলারের দাম দেওয়া হচ্ছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এর সঙ্গে সরকারি আড়াই শতাংশ প্রণোদনা ধরে প্রতি ডলারে পাওয়া যাচ্ছে ১১২ টাকা। তবে হুন্ডিতে ডলারের দাম ১১৫ টাকার বেশি। দেশের খোলাবাজারেও ডলারের দাম এখন ১১৭ থেকে ১১৮ টাকা। ফলে ডলারের এই দাম রেখে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়বে না।
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট প্রবাসী আয় এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল। ওই অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।