আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে কাশ্মীর নিয়ে কথা বললেন এরদোয়ান

মোহনা অনলাইন

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে আবারও তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কাশ্মীরে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পথ খুলবে। এ ক্ষেত্রে তুরস্ক সমর্থন জুগিয়ে যাবে।’

সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে জি–২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন এরদোয়ান। ওই সময় দুই নেতা বাণিজ্য এবং অবকাঠামোগত সম্পর্ক জোরদার নিয়ে আলোচনা করেন।

এরদোয়ান বলেন, এটা গর্ব করার মতো বিষয় যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারত ভূমিকা রাখছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ৫টি স্থায়ী এবং ১৫টি অস্থায়ী সদস্যদেশ আছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট চান, জাতিসংঘের ১৫টি অস্থায়ী সদস্যদেশকে যেন স্থায়ী করা হয়। তিনি বলেন, ‘এ ২০টি দেশকে (১৫‍+৫) পর্যায়ক্রমে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য করা উচিত। কারণ, আপনারা জানেন, বিশ্ব পাঁচের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। যখন আমরা বলি, বিশ্ব পাঁচের চেয়ে বড়, তখন এটি আর শুধু যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন ও রাশিয়াকে বোঝায় না।’

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাতিসংঘের অধিবেশনে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এরদোয়ানকে বারবারই কাশ্মীর প্রসঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।

গত বছরের সাধারণ অধিবেশনেও কাশ্মীর প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি। এরদোয়ান তখন বলেছিলেন, ‘৭৫ বছর আগে ভারত ও পাকিস্তান তাদের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা নিশ্চিত করলেও এখন পর্যন্ত তারা একে অপরের সঙ্গে শান্তি ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি। এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের আশা, কাশ্মীরে অবাধ ও দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা করা যাবে।’

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভিডিও বক্তব্যেও জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে কথা বলেছিলেন এরদোয়ান।

ভারত ওই সময় এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। তারা বলেছিল, তুরস্কের উচিত অন্য দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা এবং নিজেদের নীতিমালার দিকে আরও বেশি করে মনোনিবেশ করা।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button