ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলস্টেশনে তিন যুগেও থামেনি কোনো ট্রেন। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনে গত বছর স্টেশনটি পুনরায় চালু করার উদ্যাগ নিলেও কাজের ধীরগতি নিয়ে আছে অভিযোগ। রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবন নির্মান কাজ শেষ হলেই অতিদ্রুত চালু করা হবে রেল স্টেশনটি।
একের পর এক ট্রেন অতিক্রম করে গেলেও বাকৃবি স্টেশনে থামেনি কোন ট্রেন। দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে এমন চিত্র ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বদ্যালয় রেল স্টেশনের।
রেলস্টেশনটি চালুূ না থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ স্থানীয় ২০ হাজার বাসিন্দা। ঢাকায় চাকরির পরীক্ষাসহ বিভিন্ন কাজে ভোরে যাওয়া এবং ফিরতে রাত হওয়ায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের। এছাড়াও রয়েছে শহরে যাতায়াতসহ স্টেশন থেকে টিকেট কাটা নিয়েও বিড়ম্বনা।
অতিদ্রুত রেল স্টেশনটি পূর্নাঙ্গ ভাবে চালু করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাকৃবি শাখার সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, তারা কাজে ব্যর্থ হওয়াই আমরা গত ১২ সেপ্টেম্বর অবরোধ করি। আমরা এ কটি রেলকে আটকে দিই। এরপরই রেল শাখার ইন্জিনিয়ার ও উন্নয়ন শাখার লোকেরা আমাদের আশ্বাস দেন ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু হবে। এরপর আমরা আর অবরোধ করি নি। এখন দেখা যাক ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শুরু হয় কী না। এরপরও না হলে আমরা আবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে নামব।
ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আকরাম আলী বলেন, স্টেশন ভবন নির্মান কাজ শেষ করতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে। অতিদ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান রেলের এই কর্মাকর্তা।
এই রেলস্টেশনের উপর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-ময়মনসিংহগামী ১৫টির বেশি ট্রেন চলাচল করে। দ্রুত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলষ্টশনে ট্রেন থামবে এবং দ্রুত মেরামতের কাজ শেষ হবে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় এলাকাবাসীর।