ইসরাইলে হামাসের আকস্মিক বড়ো ধরনের হামলার নিন্দা জানিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদের অনেক সদস্য। কিন্তু তারা কোন ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। এ কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফিলিস্তিনী গ্রুপ হামাস শনিবার ইসরাইলে হঠাৎ করেই বড়ো ধরনের হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষে অসংখ্য হতাহত এবং হামাস ইসরাইলের অনেককে জিম্মি করে। এ প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদ রোববার জরুরি বৈঠক ডাকে।
নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পর মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক রবার্ট উড সাংবাদিকদের বলেছেন, উল্লেখ সংখ্যক দেশ হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে। তবে অবশ্যই সকলেই নয়। কূটনীতিকরা বলছেন, নিরাপত্তা পরিষদ বাধ্যবাধকতাপূর্ণ প্রস্তাব ছাড়া কোন ধরনের যৌথ বিবৃতির বিষয়টি বিবেচনা করেনি।
এদিকে রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন কিছু সদস্য হামাসের হামলার নিন্দার চেয়ে আরো বৃহত্তর বিষয়ে নজর দেয়ার আশা করছে।
জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, তার বার্তা ছিল অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া এবং অর্থপূর্ণ আলোচনা শুরু করা যা কয়েক দশক ধরেই বলা হচ্ছিল। তিনি বলেন, এটি কার্যত অমিমাংসিত সমস্যার ফলাফল।
রাশিয়ার মিত্র চীন নিরাপত্তা পরিষদে বলেছে, তারা একটি যৌথ বিবৃতি সমর্থন করবে। চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ কিছুই বলেনি, এটি অস্বাভাবিক। তিনি এর আগে বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের হামলার নিন্দা জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
হামাস নয়, পশ্চিম তীর কেন্দ্রিক ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিত্বকারী রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর ইসরাইলী দখলদারিত্ব অবসানের দিকে জোর দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দু:খজনকভাবে কিছু মিডিয়া ও রাজনীতিবিদদের জন্যে ইতিহাস তখনই শুরু হয় যখন ইসরাইলীরা নিহত হয়।
ফিলিস্তিনী কর্তৃপক্ষ এবং ইসরাইল রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ছিল না। কারন তারা কেউই বর্তমানে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য নয়।