বিশ্বকাপের শুরু থেকেই দেখা গেছে দুই দলের দাপট। সেমির দৌড়ে এগিয়ে থাকতে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। জিতলেই নিশ্চিত হবে সেমিফাইনাল ; এমন সমীকরণকে সামনে রেখে টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
বুধবার (১ নভেম্বর) পুনেতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম।
বিশ্বকাপের আগে কেউ দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেভাবে হিসেবে ধরেনি। শেষ দল হিসেবে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করেছিল টেম্বা বাভুমার দল। কিন্তু বিশ্বকাপে এসে রানের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। দারুণ বোলিং করছেন বোলাররাও। ৬ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতেই হেরেছে তারা। পয়েন্ট তালিকায় ভারতের ঠিক পরেই আছে তাদের নাম।
বিশ্বকাপে অবাক করেছে নিউজিল্যান্ডও। নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে ছাড়াই অধিকাংশ ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ পারফর্ম করেছে কিউইরা। তবে শেষ দুই ম্যাচে হার দেখায় আজ জয়ের বিকল্প নেই তাদের। সেমিফাইনালে জায়গা পেতে হলে হাতে থাকা তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই জয় পেতে হবে তাদের। পুনের ছোট মাঠে আজও প্রোটিয়ারা রান উৎসবে মেতে উঠতে পারে তবে নিউজিল্যান্ডো দেখিয়ে দিয়েছে বড় রান তাড়া করার সামর্থ তাদের আছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে মাত্র ৫ রানে হেরেছিল কিউইরা।
তবে নিউজিল্যান্ড দলে রয়েছে বেশকিছু ইনজুরি সমস্যা। কিউইদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচেও দলের নিয়মিত অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে পাচ্ছে না তারা।
এই দুই দলের সবশেষ পাঁচ ম্যাচের পরিসংখ্যান অনুযায়ী কিউইরা এগিয়ে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ২ জয়ের বিপরীতে নিউজিল্যান্ডের জয় রয়েছে ৩টি। আর সর্বমোট ৭১ ওয়ানডে ম্যাচের হিসাবে এগিয়ে রয়েছে প্রোটিয়ারা। যেখানে নিউজিল্যান্ডের জয় রয়েছে ২৫টি এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ৪১টি। আর পাঁচ ম্যাচে কোনো ফল আসেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: কুইন্টন ডি কক (উইকেটকিপার), টেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), রাসি ফন ডার ডুসেন, এইডেন মার্করাম, হেইনরিখ ক্লাসেন, ডেভিড মিলার, মার্কো ইয়ানসেন, গেরলাড কোয়েতজে, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, লুঙ্গি এনগিডি।