নারী অধিকারের জন্য জেলে বসে অনশন করছেন ৫১ বছর বয়সী নার্গিস মোহাম্মদি। নারী অধিকার ও মানবাধিকারের পক্ষে লড়াই করে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ইরানি এই মানবাধিকারকর্মী। সোমবার (৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এক বিবৃতিতে নোবেলজেয়ী নার্গিসের পরিবার জানিয়েছে, নার্গিস বর্তমানে ইরানের রাজধানী তেহরানের এভিন কারাগারে বন্দি আছেন। সেখানে অসুস্থ নারী বন্দিদের চিকিৎসা নিয়ে অবহেলা এবং নারীদের বাধ্যতামূলক হিজাব পরার নীতির প্রতিবাদে আজ থেকে অনশন শুরু করেছেন। তার শারীরিক অবস্থা ও স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবার।
এক এক্সবার্তায় নার্গিসের পরিবার আরও জানিয়েছে, অনশন শুরুর পর থেকে তিনি শুধু পানি, চিনি ও লবণ খাচ্ছেন। ওষুধ খাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছেন।
বর্তমানে ইরানে জনপরিসরে নারীদের হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তবে ইরানের এই নীতি মানতে নারাজ নার্গিস। তার এমন অবস্থানের কারণে তাকে কারাগারের বাইরে চিকিৎসা গ্রহণে দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ। যদিও তিনি হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যায় ভুগছেন। তার পরিবার বলছে, নার্গিসের কারাগারের বাইরে জরুরি চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।
গত ৬ অক্টোবর ২০২৩ সালের শান্তিতে নোবেলজয়ী হিসেবে মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদির নাম ঘোষণা করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি। কারাগারে থেকেই বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকারের এই লড়াকু সৈনিক নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নার্গিস মোহাম্মদি একজন নারী, মানবাধিকারকর্মী ও স্বাধীনতা যোদ্ধা। তার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও অধিকারের জন্য সাহসী লড়াইয়ের ফলে ব্যক্তিগত অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। ইরানের শাসকরা তাকে ১৩ বার গ্রেফতার করেছে, পাঁচবার দোষী সাব্যস্ত করেছে, সব মিলিয়ে ৩১ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫৪টি বেত্রাঘাত করেছে। তিনি এখনো কারাগারে।