কানাডার অন্টারিও প্রদেশের কেমব্রিজ শহরে গত ২৩ অক্টোবর ১৪ পাউন্ড ওজনের এক শিশুর জন্ম হয়। কেমব্রিজ শহরের দম্পতি চান্স ও ব্রিটেনি আয়রেস এই শিশুর জন্ম দেন।
কেমব্রিজ মেমোরিয়াল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে তার জন্ম হয়। সদ্যোজাত এই শিশুর ওজন ১৪ পাউন্ড ৮ আউন্স (৬ কেজি ৫৭৭ গ্রাম)। লম্বায় ছিল ৫৫ সেন্টিমিটার। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে সনি আয়রেস। এটি চান্স ও ব্রিটেনির প্রথম সন্তান নয়, এর আগে তিনি চারবার এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। তবে এবারের আনন্দের মাত্রা অনেক বেশি। এই নবজাতক সবার আশাকে ছাপিয়ে গেছে। চান্স ও ব্রিটেনির অন্য আরও দুই সন্তানের ওজনও জন্মের সময় ১৩ পাউন্ডের বেশি ছিল। জন্মের পর সনিকে ওজনের মেশিনে রাখার পর সবার চোখ চড়কগাছ।
চান্স আয়রেস ফক্স নিউজকে বলেন, এ এক অন্য রকম অভিজ্ঞতা। চিকিৎসক ও নার্সরা যেভাবে উল্লাস করছেন, মনে হচ্ছে টরন্টোর আইস হকি টিম ম্যাপল লিফস স্ট্যানলি কাপ জিতেছে। সবাই লাফাচ্ছেন, চিৎকার করছেন।
সেন্টারস ফর ডিজিজ অ্যান্ড প্রিভেনশনস ন্যাশনাল সেন্টার ফর হেলথ স্ট্যাটিসটিকসের তথ্যমতে, মাতৃগর্ভে পূর্ণ মেয়াদ শেষ করা শিশুর জন্মের সময় ওজন হয় ৭ পাউন্ড ২ আউন্স থেকে ৭ পাউন্ড ৬ আউন্সের মধ্যে। আর বেশি ওজন নিয়ে যেসব শিশুর জন্ম হয়, তাদের ওজন হয় ৯ পাউন্ডের মতো।
প্রসূতি ও স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ আছা আহিমবিসিবোই ফক্স নিউজকে বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় ব্রিটনির দেখভাল করার সুযোগ পেয়েছি এবং তাঁর তিন সন্তান আমার হাত ধরে পৃথিবীতে এসেছে, যা আমার জন্য আনন্দের।’
তবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর ওজন ২২ পাউন্ড। ১৮৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি ওহাইওতে সেই শিশুটির জন্ম হয়েছিল, তবে মাত্র ১১ ঘণ্টা বেঁচে ছিল সে।