
বাংলাদেশের জনগণ তাদের ইতিহাসে পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (শুক্রবার) বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ১৯৭১ সালে নৃশংস সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাস ধরে গণহত্যায় লাখ লাখ সাধারণ নারী, পুরুষ, শিশু এবং যুবক-যুবতী সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছিলেন। আমাদের জনগণ এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত এবং মুক্ত সমাজের আকাঙ্ক্ষা করেছিল যেখানে প্রতিটি সাধারণ মানুষ তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারে। দুঃখের বিষয় হলো, গত পনেরো বছরে আমাদের জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, ধীরে ধীরে তাদের স্থান এবং অধিকার হ্রাস পেয়েছে। তারা প্রায় প্রতিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের গভীর ক্ষয় এবং নাগরিক অধিকার পদদলিত হতে দেখেছে। প্রায় ২ হাজার নিরীহ মানুষের জীবন বিনষ্ট করে, যাদের বেশিরভাগই যুবক, যার মধ্যে ১১৮ জন শিশু ছিল। বাংলাদেশের মানুষ তার ইতিহাসে এক পুনর্জন্ম প্রত্যক্ষ করেছে।
‘শেখ হাসিনার দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারী শাসন থেকে বিদ্রোহের নেতৃত্বদানকারী এবং দেশকে মুক্তকারী ছাত্রনেতারা আমাকে আমাদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। আমি জনগণের স্বার্থে দায়িত্ব নিতে রাজি হয়েছি।’
তিনি বলেন, “আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, নির্বাচন পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের ম্যান্ডেট পূরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করব।”
বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে আনন্দিত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিমসটেক অঞ্চলের আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সরাসরি আলাপচারিতা। ১৯৯৭ সালে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়ার পর থেকে বিমসটেক প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমাদের আগমনের পর থেকে আমাকে এবং আমার প্রতিনিধিদলকে যে উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তা প্রদান করা হয়েছে তার জন্য আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। বিমসটেক সচিবালয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মহাসচিব, রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।