দল বিশ্বকাপে চূড়ান্ত পর্যায়ের বাজে পারফরম্যান্স করায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের এখন টালমাটাল অবস্থা। পয়েন্ট তালিকার নয়ে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করায় ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনেও ব্যর্থ হয়েছে দেশটি। সাথে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে আইসিসির নিষেধাজ্ঞা। বোর্ডে দুর্নীতির অভিযোগ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপের কারণে এসএলসির সদস্যপদ স্থগিত করেছে আইসিসি।
১৯৯৬ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। সেই দলের অধিনায়ক ছিলেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা। ভারতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষে ২০১১ বিশ্বকাপেও ফাইনাল খেলেছিল কুমার সাঙ্গাকারার দল। কিন্তু ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা পর্যন্ত পায়নি শ্রীলঙ্কা। নেপাল, ওমানের মতো দলগুলোর সাথে একই টুর্নামেন্টে বাছাইপর্ব খেলে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দাসুন শানাকার দল।
মাঝে এশিয়া কাপে ঝলক দেখিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে বিশ্বকাপে হয়েছে ভরাডুবি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে শ্রীলঙ্কা। কারণ বিশ্বকাপের সেরা ৮ দল খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আর পয়েন্ট টেবিলের শ্রীলঙ্কার অবস্থান দশম। তারপর আরো বড় আঘাত হানা দেয় লঙ্কান ক্রিকেটে। দুর্নীতির দায়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে নিষিদ্ধ করেন লঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রী। আর সরকারের হস্তক্ষেপের দায়ে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডকে স্থগিত করেছে আইসিসি।
এই দুরবস্থায় মুখ খুলেছেন । লঙ্কান গণমাধ্যম ডেইলি মিররে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জয় শাহর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন তিনি। সেখানে রানাতুঙ্গা সিংহল ভাষায় কথা বলেছেন।
রানাতুঙ্গা বলেন, “শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে জয় শাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। সে সৌরভ গাঙ্গুলীকে বিসিসিআইয়ের সভাপতি বানিয়েছিল এবং রাজনীতিতে যোগ দিতে বলেছিল। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে গাঙ্গুলীকে বরখাস্তও করেছে। এসএলসির কর্মকর্তা ও জয় শাহর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণে বিসিসিআইয়ের ধারণা, ওরা এসএলসিকে চাইলেই পদদলিত ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ভারতের একটা লোক শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ওর চাপে এসএলসি তছনছ হয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘যদি আপনি আমার এই সিংহলি ভাষার সাক্ষাৎকারটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন, তাহলে জয় শাহ বাবার প্রভাব খাটিয়ে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের সর্বনাশ করে দিবে।’
সৌরভ গাঙ্গুলীর উদাহরণ টেনে রানাতুঙ্গা বলেন, ‘জয় শাহ গাঙ্গুলীকে বিসিসিআইয়ের সভাপতি বানিয়েছিল এবং রাজনীতিতে যোগ দিতে বলেছিল। কিন্ত গাঙ্গুলী প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বরখাস্ত হতে হয়। সে চাইলেই লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে পদদলিত করতে পারে।’