উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এবং বোরাক রিয়েল এস্টেটের মধ্যে শেয়ার বণ্টনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। উভয় পক্ষ ডিএনসিসি ইউনিক কমপ্লেক্সের (হোটেল শেরাটন) অংশীদারিত্ব বুঝে নিয়েছে।
এখন রাজধানীর বনানীতে ২৮ তলা হোটেল শেরাটন বাণিজ্যিকভাবে পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত সোমবার ডিএনসিসি কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও বোরাক রিয়েল এস্টেটের পক্ষে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহা. নুর আলী সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির পর ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তার ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিয়েছে। অন্যদিকে বোরাক রিয়েল এস্টেটও নিজ অংশ বুঝে নিয়ে হোটেল শেরাটনের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করেছে।
গত ৯ অক্টোবর দুই পক্ষের উপস্থিতিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ দীর্ঘ শুনানির পর মামলাটি নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন। এতে বলা হয়, সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে ভবনটির ২০১ ফুট উচ্চতা অনুমোদন করেছে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বনানী ডিসিসি-ইউনিক কমপ্লেক্সের ২০ তলা বা ২০১ ফুট পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বোরাক রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের অংশ বুঝে নিয়ে চুক্তি হয়। পাশাপাশি শেয়ার স্পেস বুঝে নিয়ে চুক্তি সম্পাদন করার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতেই এই শেয়ার বণ্টন চুক্তি সম্পন্ন হয়।
হাইকোর্টে বোরাক রিয়েল এস্টেটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসেন, আইনজীবী মো. আবু তালেব, শেখ মোসফেক কবির, আবুল কাশেম ও এনামুল হক তুহিন। অন্যদিকে ডিএনসিসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমতিয়াজ মইনুল ইসলাম নীলিম। রাজউকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইমাম হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ।
এই চুক্তির ফলে হোটেল শেরাটন ভবনের ২০ তলা পর্যন্ত শেয়ার বণ্টনের কার্যক্রম চূড়ান্ত হলো। ফলে হোটেল শেরাটন পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হতে যাচ্ছে। অন্যদিকে ডিএনসিসিও বুঝে নিয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সম্পদ এবং রাজস্ব আয়।