আবারও সাকিব আল হাসানের নাম জড়িয়েছে অনলাইন জুয়ার সাইটের সঙ্গে। বাবু৮৮ (BABU88) নামে একটি অনলাইন ক্যাসিনো ও ক্রিকেট এক্সচেঞ্জ সাইটের বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে সাকিবকে।
এর কয়েক বছর আগে এক জুয়াড়ির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে আলাপ করায় ক্রিকেট থেকে এক বছর নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০২০ সালে আবার আন্তর্জাতিক ফিরেছেন।
২০২২ সালে এশিয়া কাপের অধিনায়ক ঘোষণার সময় সাকিব বেটউইনার নিউজ নামে একটি ওয়েবসাইটের পণ্যদূত হন।
বেটউইনার নিউজ আসলে বেটউইনার নামের এক জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের পোশাকি নাম। বাংলাদেশে সব ধরণের জুয়া নিষিদ্ধ। বিপিএল, আইপিএল বা অন্য সব সিরিজে আড়ালে আবডালে পাড়া মহল্লায় জুয়া চললেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এ সংক্রান্ত যেকোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত থাকা বেআইনি।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এই চুক্তি বাতিল না করলে সাকিবকে দল থেকেই বাদ দেওয়া হবে।
এরপর সাকিব চুক্তি বাতিল করেন এবং ভবিষ্যতে এমন কিছু থেকে দূরে থাকবেন বলে জানান। বিসিবিও তাঁকে নতুন অধিনায়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয়।
এদিকে, গত ১১ অক্টোবর ইউটিউবে প্রকাশিত হওয়া ভিডিওতে সাকিবকে বাবু এইটিএইট এর অ্যাপ ব্যবহার করছেন, এমন একটা ভঙ্গি করে সাকিবকে বলতে দেখা গেছে, ‘ওয়াও, এত দ্রুত (খেলার আপডেট দিচ্ছে)। বাবু এইটিএইট স্পোর্টস বাংলাদেশের এক নম্বর স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি ক্রিকেটসহ আরও সব খেলার আপডেট পাবেন। ক্রিকেটের উত্তেজনা উপভোগ করুন এবং বাবু এইটিএইট-এর উপর আস্থা রাখুন। এক নম্বর এবং সবচেয়ে বিশস্ত ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলার আপডেট পাওয়ার প্ল্যাটফর্ম এটি।’
কিন্তু এই নামে কোনো নিউজ পোর্টাল পাওয়া যায়নি। এই নামের যত ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে, সব ওয়েবসাইটে গিয়েও খেলার কোনো ধরনের আপডেট পাওয়ার উপায় দেখা যায়নি। পুরো ওয়েবসাইট জুড়ে শুধু বিভিন্ন খেলা নিয়ে বাজি ধরার আহবান। ওয়েবসাইটে লেখা বাংলাদেশের এক নম্বর বেটিং প্ল্যাটফর্মে স্বাগতম।
এমন এক বিজ্ঞাপনে সাকিব কী করছেন, এর অবশ্য একটা ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে। এই বেটিং ওয়েবসাইট কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের দল মন্ট্রিয়ল টাইগার ও লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ ডাম্বুলা অরার স্পনসর।
বিভিন্ন লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর হয়ে খেলতে গেলে স্পনসরের হয়ে বিজ্ঞাপণ করতে হয় ক্রিকেটারদের। গত জুলাই-আগস্টে মন্ট্রিয়ল টাইগারের হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ৪টি ম্যাচ খেলে ফিরে এলেও সে সময়ই হয়তো এই বিজ্ঞাপণ করেছেন সাকিব। তবু বাংলাদেশের আইনে বাজি ধরা যে নিষিদ্ধ, এবং একই ধরনের একটি ওয়েবসাইটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে গত বছর জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার হুমকির মুখে পড়েছিলেন এটা জেনেও আবার এমন বিজ্ঞাপণ করার ব্যাপারে সাকিব কেন রাজি হলেন সেটাই প্রশ্নের।