দেশের মোট ব্যবহৃত (৫,১০০ জিবিপিএস) ব্যান্ডউইথের মধ্যে ২,৫০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ বিক্রি করে বিএসসিপিএলসি।
গত ১৩ জুলাই পাওনা আদায়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিএসসিপিএলসি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৯ আগস্ট বিটিআরসিকে চিঠি দেয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। চিঠিতে জানান হয়, বিভিন্ন অপারেটরের কাছে বিএসসিপিএলসির বকেয়ার পরিমাণ ৩৮৪ কোটি টাকা।
নিয়ম আছে এক মাসের বিল বিএসসিপিএলসিতে বকেয়া রাখা যাবে। বিএসসিপিএলসি যে হিসাব দিয়েছে তাতে করে দেখা যায় আইআইজিগুলোর প্রায় ৮ মাসের বিল বকেয়া রয়েছে।
বিএসসিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মির্জা কামাল আহম্মদ বলেন, “আইআইজিগুলো তাদের বকেয়া দিতে সম্মত হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই তাদের ব্যান্ডইউডথ স্বাভাবিক করার কাজ চলছে। রবি-সোমবারের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।”
এতদিন বকেয়া আদায় করতে কষ্ট হচ্ছিল জানিয়ে তিনি জানান, ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেও সাত কোটি টাকা পেয়েছেন। ব্যাংক খুললে বাকি টাকাও পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
ইন্টারনেট ট্রাফিকের জন্য আন্তর্জাতিক গেটওয়ে হিসাবে কাজ করে আইআইজি কোম্পানিগুলো। দেশ ও বাকি বিশ্বের মধ্যে তথ্যের প্রবাহ এই গেটওয়ে দিয়েই যায়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যান্ডইউডথ সরবরাহ করে বিএসসিসিএল।
তাদের মাধ্যমে দেশের ৫০% এর মতো ব্যান্ডউইডথ আসছে। বাকিটা আসছে ছয়টি ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) সেবাদাতার মাধ্যমে। সাবমেরিন কেবলের ব্যান্ডউইডথ কমানো হলেও আইটিসিগুলোর সেবা স্বাভাবিক রয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছ থেকে লাইসেন্সধারী ৩৪টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে বা আইআইজি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বাংলাদেশ আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমদাদুল হক বলেন, “দেশের অনেক ইন্টারনেট গ্রাহক গতির সমস্যায় পড়েছেন। তবে সমস্যাটা কোন এলাকায় বেশি তা বলা যাচ্ছে না। কারও নেট স্বাভাবিক রয়েছে।”
গত ২৬ অক্টোবর মহাখালীর খাজা টাওয়ার পুড়ে গিয়ে আটটি আইআইজি প্রতিষ্ঠানের সেবা বিঘ্ন হওয়ার পরও সারা দেশের গ্রাহকেরা ইন্টারনেট নিয়ে বিপত্তিতে পড়ে। তা স্বাভাবিক হতে সময় লাগে কয়েক দিন।