দেড় মাসের অধিক সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় গাজার বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি এতোটাই প্রকট আকার ধারণ করেছে যে, বাসিন্দাদের রান্না করার গ্যাস নেয়ার জন্য ২ কিলোমিটার পর্যন্ত লাইন বিস্তৃত হয়েছে।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা (ইউএনওসিএইচএ) জানিয়েছে, গাজার মানুষ রান্নার জন্য গ্যাস নিতে রাতভর সারি ধরেছে। এ সারি এখন ২ কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইয়ানিসে একটি ফিলিং স্টেশনের বাইরে এ সারি দেখা গেছে। চুক্তির আওতায় গাজায় জরুরি সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার পর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর থেকে চলা যুদ্ধের মধ্যে শুক্রবারে প্রথমবারের মতো এসব পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরায়েল।
আল জাজিরার প্রকাশিত একাধিক ছবিতে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহতে মিশর সীমান্তের রাফাহ ক্রসিং হয়ে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে প্রবেশ করা ট্যাংক থেকে রান্নার গ্যাস ভর্তি করার জন্য লোকেদের খালি ক্যানিস্টার নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়।
জাতিসংঘ বলেছে, গাজায় যে পরিমাণে পণ্য সরবরাহ হচ্ছে তা চাহিদার চেয়ে অনেক কম এবং লোকেরা ‘রান্না করার জন্য দরজা ও জানালার ফ্রেম জ্বালিয়ে দিচ্ছে’ বলে জানা গেছে।
এদিকে শনিবার (২৫ নভেম্বর) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজায় আবারও অভিযান শুরু করবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হলেই গাজায় অভিযান করবে।
ইসরায়েলি ব্রডকাস্টিং করেপোরেশন সেনাপ্রধানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, আমরা গাজায় অবিলম্বে আমাদের কৌশলে ফিরে আসব। হামাসকে নির্মূল করব এবং আমাদের জিম্মিদের ফেরাতে গাজার ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ অব্যাহত রাখব।