দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকের পরিচয়ই তার অবস্থান গড়ে দিয়েছিল; প্রভাব প্রতিপত্তির পেছনেও ছিল কাগজটি। ২০১০ সালে সেই ইত্তেফাক ছেড়ে দিয়েই পারিবারিক মালিকানাধীন ভবনটির মালিকানা বেছে নেন তিনি।
ইত্তেফাকের এক সময়ের সম্পাদক ও সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়কার উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন মারা গেছেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
আইন পেশার পাশাপাশি রাজনীতিতে নামা ব্যারিস্টার মইনুল ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ নেশনের সম্পাদক ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার বড় ছেলে। আইন পেশা বা রাজনীতির চেয়ে বাংলা দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক হিসেবেই পরিচিতি গড়েছিলেন; তার প্রভাবের পেছনেও এ সংবাদপত্রের ভূমিকা ছিল বেশি। আর বছরের পর বছর আলোচনায় ছিলেন ছোট ভাই ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ইত্তেফাকের মালিকানা নিয়ে বিরোধরে কারণে।
প্রয়াত মইনুল হোসেনের একান্ত সচিব ওয়াহিদুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্যার এভারকেয়ার হাসপাতালে ছিলেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।” ৮৩ বছর বয়সী এই সাংবাদিক, রাজনীতিক ও আইনজীবী স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।