জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ভোটাধিকার ইস্যুতে আমরা অব্যাহতভাবে সম্পৃক্ত রয়েছি।’ স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সংস্থাটির নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য জাতিসংঘ তরফ থেকে বার বার তাগাদা দেয়া হচ্ছে।
স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হয়, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সসহ ছয়টি নেতৃস্থানীয় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কারণ তথাকথিত নির্বাচনের আগে শাসকগোষ্ঠী সারা দেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশে মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার উদ্ধারে জাতিসংঘ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে?
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘আমরা এই ইস্যুতে (মানবাধিকার) সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করে যাব।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশে আবারও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সংগঠনের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে প্রত্যেক বাংলাদেশি ভোট দিতে পারেন কোনো ধরনের ভয়ভীতি বা কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ছাড়াই।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো হলো—রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট টর্চার কনসোর্টিয়াম, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স, অ্যান্টি-ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স ও এশিয়ান ফোরাম ফল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
সংগঠনগুলো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিসহ সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যে পাঁচটি সুপারিশ করেছে। প্রথমত, অবিলম্বে প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করুন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা, জানমালের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিগত অখণ্ডতার অধিকারগুলোর সম্মান ও সুরক্ষিত করা নিশ্চিত করুন। দ্বিতীয়ত, অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে সব রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার করে নির্বিচারে আটক সব কর্মী ও বিরোধী দলের সদস্যদের মুক্তি দিন এবং সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করুন।