সংসদের অভ্যন্তরে সাম্প্রতিক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে বিক্ষোভ করায় ভারতীয় লোকসভা এবং রাজ্যসভার মোট ৭৮ জন বিরোধী সংসদ সদস্যকে (এমপি) সাসপেন্ড করা হয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে একথা বলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে সংসদের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে বিরোধীদের লাগাতার বিক্ষোভের জন্য লোকসভা ৩৩ সদস্যকে সাসপেন্ড করার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যসভা আজ সন্ধ্যায় শীতকালীন অধিবেশনের অবশিষ্ট সময়ে ৪৫ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করেছে।
এদিকে, একই ইস্যুতে বক্তব্যের দাবি করায় গত সপ্তাহে বিরোধী দলীয় ১৪ সংসদ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সুতরাং, এই অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া মোট সাংসদের সংখ্যা দাাঁড়াল ৯২ জনে।
এদিকে আজ দিনের প্রথম ভাগে, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা এখানে সংসদ চত্বরে মকর দ্বারের সিঁড়িতে বিক্ষোভ করেন। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা সাংসদের মধ্যে রয়েছেন- লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সংসদে দলের উপনেতা গৌরব গগৈ। এছাড়া তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও শতাব্দী রায় এবং ডিএমকে সদস্য এ রাজা ও দয়ানিধি মারানও এ তালিকায় রয়েছেন। এই পদক্ষেপের পর কংগ্রেস অভিযোগ করে যে সরকার বিরোধী বা ভিন্নমতকে ‘দমন’ করতে সংসদকে ব্যবহার করছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘শুধু লোকসভায় নয়, আজ রাজ্যসভায় ‘রক্তস্নান’ হয়েছিল। ১৩ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি ও বিরোধীদলীয় নেতাকে কথা বলার অনুমতি দেয়ার দাবি করায় ৪৫ জন ইন্ডিয়া দলের সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাক্রমে, আমিও এই তালিকায় আছি। আমার ১৯ বছরের সংসদীয় ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।’
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, বিরোধীবিহীন সংসদে সরকার এখন “বিতর্ক ছাড়াই অপেক্ষমান গুরুত্বপূর্ণ মুলতবি আইনগুলির যে কোন ভিন্নমত ‘পিষে’ ফেলতে পারে।”
এদিকে, একই ইস্যুতে বক্তব্যের দাবি করায় গত সপ্তাহে বিরোধী দলীয় ১৪ সংসদ সদস্যকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। সুতরাং, এই অধিবেশনে সাসপেন্ড হওয়া মোট সাংসদের সংখ্যা দাাঁড়াল ৯২ জনে।
এদিকে আজ দিনের প্রথম ভাগে, সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা এখানে সংসদ চত্বরে মকর দ্বারের সিঁড়িতে বিক্ষোভ করেন। লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা সাংসদের মধ্যে রয়েছেন- লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং সংসদে দলের উপনেতা গৌরব গগৈ। এছাড়া তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও শতাব্দী রায় এবং ডিএমকে সদস্য এ রাজা ও দয়ানিধি মারানও এ তালিকায় রয়েছেন। এই পদক্ষেপের পর কংগ্রেস অভিযোগ করে যে সরকার বিরোধী বা ভিন্নমতকে ‘দমন’ করতে সংসদকে ব্যবহার করছে।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ আজ এক্স-এ একটি পোস্টে বলেছেন, ‘শুধু লোকসভায় নয়, আজ রাজ্যসভায় ‘রক্তস্নান’ হয়েছিল। ১৩ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি ও বিরোধীদলীয় নেতাকে কথা বলার অনুমতি দেয়ার দাবি করায় ৪৫ জন ইন্ডিয়া দলের সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনাক্রমে, আমিও এই তালিকায় আছি। আমার ১৯ বছরের সংসদীয় ক্যারিয়ারে এই প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল।’
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, বিরোধীবিহীন সংসদে সরকার এখন “বিতর্ক ছাড়াই অপেক্ষমান গুরুত্বপূর্ণ মুলতবি আইনগুলির যে কোন ভিন্নমত ‘পিষে’ ফেলতে পারে।”