ভারতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৭ শতাধিক মানুষ। বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সবথেকে বেশি মৃত এবং সংক্রমিত কেরালায়। কেরালা ছাড়াও তামিলনাডু, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, গোয়া, রাজস্থান এবং পাঞ্জাবেও করোনা রোগী পাওয়া গেছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশে নতুন করে ছয়জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে মহারাষ্ট্রে মারা গেছেন দুজন। আর কর্ণাটক, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ এবং দিল্লিতে মারা গেছেন একজন করে। আর বুধবার ভারতে করোনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে দুইজন কর্ণাটক এবং একজন গুজরাটের বাসিন্দা।
কলকাতার আমরি হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সায়ন চক্রবর্তী বিবিসিকে বলেন, নতুন যে ভ্যারিয়েন্টটা দেখা যাচ্ছে, সেটার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা আগের অমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের থেকে অনেকটাই বেশি। কিন্তু এই ভ্যারিয়েন্টটার ধার অনেকটাই কম, খুব বেশি যে অসুস্থ করে ফেলতে পারবে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট, তা নয়।
তিনি আরও বলেছেন, আগের কয়েকবার যেমন দেখা গেছে প্রচুর মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, আইসিইউতে দিতে হচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্টে সেরকমটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই ভ্যারিয়েন্টের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা সাধারণ সর্দি, কাশি, জ্বরের মতোই লক্ষণ দেখা দেবে।
উল্লেখ্য, করোনার নতুন এই উপধরনটি শনাক্ত হয় গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায়। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে জেএন.১-এর সন্ধান মিলেছে। চীনেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ভারতের কেরালায় জেএন.১ আক্রান্ত প্রথম রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তার পর অন্য রাজ্যগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে এই উপধরন।