আন্তর্জাতিক

মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সমর্থনের কথা জানালেন শি

মোহনা অনলাইন

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং বলেছেন, কৌশলগত ভৌগলিক অবস্থানে থাকা মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশটিকে তিনি সমর্থন দিচ্ছেন।

অবকাঠামো থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশ বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর শি এ কথা বলেছেন।
গত বছর সেপ্টেম্বরে নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু মূলত চীনপন্থী হিসেবেই পরিচিত। তিনি বেইজিংয়ের সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার করেছেন।
ভারতের সাথে কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই মুইজ্জু চীন সফর করছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এটি তার প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। দু’দিন আগে চীন এলেও গতকাল বুধবার জিনপিংয়ের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়। ঐতিহাসিক গ্রেট হলে পৌঁছানোর পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয় তোপধ্বনির মাধ্যমে। দেয়া হয় গার্ড অব অনার। এসময় সাথে ছিলেন দেশটির ফার্স্ট লেডি।
এরপরই তাদের স্বাগত জানান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এরপর বৈঠকে বসেন দুই প্রেসিডেন্ট। সাথে ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে বেইজিং এবং মালের সম্পর্ককে ঐতিহাসিক আখ্যা দেন জিনপিং।
চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, শি মুইজ্জুকে বলেছেন নতুন পরিস্থিতিতে অতীত অর্জনের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে যাওয়ার ঐতিহাসিক সুযোগ পেয়েছে দু’দেশ।
চীনের প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, চীন ও মালদ্বীপ একে অপরের বন্ধু ও সুপ্রতিবেশী। গত পাঁচ দশক ধরে দু’দেশ সবসময় একে অপরকে সম্মান ও সমর্থন করে আসছে। এর পাশাপাশি গেল ১০ বছরে দু’দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। ‘বেল্ট আ্যন্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় চীন ও মালদ্বীপের মধ্যে সহযোগিতা থেকে অনেক সুফলও অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এসময় মালদ্বীপে বিনিয়োগের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান মোহাম্মদ মুইজ্জু। সবচেয়ে বেশি জোর দেন মালদ্বীপের পর্যটন খাতে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বলেন, বেইজিংয়ের সাথে মালের যে দীর্ঘ সম্পর্ক রয়েছে, তার মর্যাদা রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। আমাদের যতগুলো প্রতিবেশী রয়েছে, তাদের মধ্যে চীন সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ। দু’দেশের স্বার্থে এই সম্পর্ক আরও জোরদারের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।
মুইজ্জুর সফরকালে দু’দেশ জলবায়ু, কৃষি ও অবকাঠামো খাতে বেশি কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সমুদ্রসম্পদ ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটন নির্ভর। দেশের মোট প্রবৃদ্ধির ২৮ শতাংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। এছাড়া মালদ্বীপের মোট বৈদেশিক মুদ্রার ৬০ শতাংশও এ খাত থেকেই আসে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button