আজ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী । ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার গাবতলীতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তার মা-বাবা তখন আদর করে কমল নামে ডাকতেন। তার ছেলেবেলা কেটেছে কলকাতায়। তার বাবা মনসুর রহমান তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। কলকাতার হেয়ার স্কুলে জিয়াউর রহমান সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পরিবারের সাথে শিশু জিয়া করাচি চলে যান। সেখানে কেটেছে তার স্কুল ও কলেজ-জীবন। করাচির স্কুল-কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি একজন ভালো হকি খেলোয়াড় ছিলেন। স্কুলে তিনি ইংরেজিতে ভালো বক্তব্য দিতে পারতেন। কৈশোরে নির্মেদ দেহের অধিকারী এক আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
করাচির ডি জে কলেজে পড়ার সময় ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সামরিক অ্যাকাডেমিতে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৫৫ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে তিনি কমান্ডো ট্রেনিং লাভ করেন। ১৯৬৭ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার অদূরে জয়দেবপুর সাব-ক্যান্টনমেন্টে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাচে লিয়নে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে যোগদান করেন তিনি। একই বছর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানি যান। ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। তার ঘাঁটি ছিল ষোলশহর বাজারে। সেখান থেকেই তিনি দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী শেরেবাংলা নগরের তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। আজ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে পোস্টার, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং দলের অঙ্গ, সহযোগী ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করছে বিএনপি।