বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এমজির সেডান গাড়ি

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো উন্মোচিত হলো এমজির সেডান গাড়ি। বাংলাদেশে মরিস গ্যারেজেসের (এমজি) তৈরি সেডান গাড়ি বাজারজাত শুরু করেছে র‍্যাংকন ব্রিটিশ মোটরস লিমিটেড।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে এমজি বাংলাদেশ বিক্রয়কেন্দ্রে ‘এমজি ফাইভ’ মডেলের গাড়িটি বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে র‍্যাংকন হোল্ডিংস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারহানা করিম, র‍্যাংকন ব্রিটিশ মোটরস লিমিটেডের প্রধান কার্যনির্বাহী কর্মকর্তা এম রশিদ ভূঁইয়া এবং প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা হুসেন মাসনুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৪৯৮ সিসি বা ১.৫ লিটারের এনএফওয়ান ইনলাইন ৪ সিরিজের টার্বো এবং নন–টার্বো ক্যাটাগরির এমজি ফাইভ গাড়ির সামনে রয়েছে ফগ লাইটের হাউজিং এবং এলইডি হেডলাইট। নন–টার্বো মডেলে গাড়িটির সর্বোচ্চ অশ্বশক্তি ৬ হাজার আরপিএম এ ১১৩ অশ্বশক্তি (এইচপি) এবং টার্বো মডেলে ৩ থেকে ৪ হাজার আরপিএম এ ১৬০ এইচপি। সর্বোচ্চ ১৫০ ও ২৫০ নিউটন মিটার টর্ক উৎপন্ন করতে সক্ষম গাড়িটি মাত্র ৭.৭ সেকেন্ডে শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে পারে। এমজি ফাইভের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। ইউরো ফাইভ মানের জ্বালানি সাশ্রয়ী এই গাড়িতে যথাক্রমে ৮ ও ৭ গতির গিয়ারবক্স ব্যবহার করা হয়েছে।

স্পোর্টস কারের আকৃতির এই গাড়ির পেছনে এলইডি টেললাইট, এমজি লোগো এবং রিয়ার সেন্সরের সঙ্গে রয়েছে ডুয়েল এক্সস্ট। গাড়িটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা যথাক্রমে ৪৬৭৫, ১৮৪২ ও ১৪৭৩ মিলিমিটার। ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইলসহ গাড়িটির চাকার পরিধি ১৬৮০ মিলিমিটার। টার্বো ধরন গাড়িটির ওজন ১৩১৮ কেজি এবং নন–টার্বো ১২৬০ কেজি। গাড়িটির সামনে ম্যাকপার্সন এবং পেছনে টর্সিন বিম সাসপেনশন ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে আরামে ভ্রমণ করা যায়।

সেডান আকৃতির এ গাড়িতে সানরুফ, ছয়টি এয়ারব্যাগ, এবিএস, অটোনোমাস ইমার্জেন্সি ব্রেকিং (এইবি), ইমার্জেন্সি ব্রেক অ্যাসিস্ট (ইবিএ), হিল হোল্ড কন্ট্রোল, স্বয়ংক্রিয় দরজা এবং বুট লকিং সিস্টেম, ক্রুইজ কন্ট্রোল, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, কিলেস এন্ট্রি, পুশ স্টার্ট, অ্যাপল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটোসমৃদ্ধ ১০ ইঞ্চি স্পর্শনির্ভর পর্দা, স্যাটেলাইট নেভিগেশন, ডিজিটাল স্পিডোমিটার, টায়ার প্রেশার মনিটরিং সিস্টেম (টিপিএমএস), সানগ্লাস বক্সসহ বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে।

এমজি ফাইভ নন–টার্বোর মূল্য ৩৬ লাখ টাকা এবং টার্বো ইঞ্জিনে গাড়িটির মূল্য ৩৯ লাখ টাকা। গাড়িটিতে বাম্পার টু বাম্পার পাঁচ বছর বা এক লাখ কিলোমিটার (যেটা আগে আসে) বিক্রয়োত্তর সেবা এবং ১০ বার বিনা মূল্যে সার্ভিসিং সুবিধা রয়েছে। হলুদ, লাল, নীল, সাদা, ধূসর ও কালো রঙে গাড়িটি দেশের বাজারে পাওয়া যাবে।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button