২৭ মার্চ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় শিশুদের নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। শিশুদের নিয়ে আয়োজিত এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি।
অনুষ্ঠানটিতে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ শিরোনামে গান গাইবেন উপমহাদেশের নন্দিত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা এবং সুরকার রুনা লায়লার সাথে এই গানে কণ্ঠ মিলাবে শত শিশু। গানটি লিখেছেন বরেণ্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশ বরেণ্য ছড়াকার, শিশু সাহিত্যিক ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। গানটির সুর সঙ্গীত করেছেন আশরাফ বাবু।
২৩ মার্চ দুপুরে রাজধানীর বনশ্রীতে গুণী সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ফোয়াদ নাসের বাবুর স্টুডিও ‘পাশের ঘর’-এ গানটির রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। এ সময় গানের গীতিকার, সুরকার, বিশিষ্ট মিউজিশিয়ান সাদেক আলী ও শিশু একাডেমির মিউজিক ইনস্ট্রাকটর হাফিজা শারমিন সুমী।
রেকর্ডিং শেষে রুনা লায়লা বলেন, ‘আনজীর লিটনের লেখা ও আশরাফ বাবুর সুর করা “বাংলাদেশ” গানটির কথা ও সুর দুটিই আমার ভালো লেগেছে। এটা একটু ভিন্ন রকম গান হয়েছে। এ ধরনের দেশাত্মবোধক গান এর আগে আমার গাওয়া হয়নি। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১০০ শিশুকে নিয়ে গানটি গাইব, এটাও আমার জন্য অনেক আনন্দের। আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ শিশু একাডেমিকে। শিশুরা আমাদের ভবিষ্যৎ। আমি সব সময় শিশুদের অনুপ্রেরণা দিতে চাই, যেন তারা বড় হয়ে যে যা হতে চায়, তা-ই হতে পারে। যদি কেউ বড় হয়ে সংগীতশিল্পী হতে চায়, তাদের বলব, ওস্তাদের কাছে ভালোভাবে গান শিখতে হবে, নিয়মিত গানের চর্চা করতে হবে।’
আনজীর লিটন বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা আপা উপমহাদেশের গর্ব। তিনি আমাদের শিশুদের জন্য গান করেছেন, তাও আবার আমার লেখা গান করেছেন-এটা যে আমার জন্য কত বড় প্রাপ্তি তা সত্যিই ভাষায় প্রকাশের নয়। আমি রুনা আপার প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’