পরীমনি ও শবনম বুবলি গত কয়েকদিন ধরেই স্ট্যাটাস, পাল্টা স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনায় ছিলেন। হঠাৎ মঙ্গলবার বেলা দুটার দিকে পরীমনি তাঁর ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দেন। পরীর এই স্ট্যাটাসও কয়েক দিন আগে বুবলী ও পরীমনির মধ্যকার ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাসের প্রেক্ষাপট ধরেই বলে মনে করছেন অনেকে।
স্ট্যাটাসের একাংশে পরীমণি লিখেছেন, ‘যে বা যারা আমার শক্রর সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, আজ থেকে কোনো দিন আমি তাদের মুখও দেখতে চাই না। অনেক তো হলো।’ পরীর এই স্ট্যাটাস নিয়ে কেউ কেউ মনে করছেন, ছোট ও বড় পর্দার এক পরিচালককে ইঙ্গিত করেই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন পরীমনি। সেই পরিচালককে পরী ও বুবলী দুজনের সঙ্গেই প্রায় সময় দেখা যায়। ধারণা, পরীমনি ও বুবলীর ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার পরের কয়েক দিন বিভিন্ন জায়গায় ওই পরিচালককে বুবলীর সঙ্গে দেখা গেছে। আর এতেই খেপেছেন পরীমনি। সেই কারণেই নাকি পরীমনির এই স্ট্যাটাস। তবে পরীমনি এ ব্যাপারে খোলসা করেননি, করতে চানওনি।
এই বিষয়ে এদিন বেলা তিনটার দিকে পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে হাসতে হাসতে পরীমনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই শত্রু পরিচালকও হতে পারে, আবার ভাই-বন্ধুও হতে পারে। বলব না। তবে যার বোঝা সে এতক্ষণে বুঝে গেছেন। অন্যদের না বুঝলেও চলবে।’
পরীমণি বলেন, ‘আমার সঙ্গে যার ঝামেলা, যে আমার শত্রু, তার সঙ্গে ঘটনার পরের সারা দিনই ওই মানুষটি ছিলেন। আহারে, আমার শত্রুর সঙ্গে তিনি হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তিনি আমাকে যেভাবে ভালোবাসা দেখান, এখন মনে হচ্ছে, এ ভালোবাসা পুরোপুরি ভুয়া। আমিও তাকে সরল মনে ভালোবেসেছিলাম, বিশ্বাস করেছিলাম, নানা সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে, এসব আমার জন্য বৃথা, কষ্ট পেয়েছি আমি।’
কিন্তু যাকে আপনি শত্রু ভেবে স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন, তিনি এসে যদি ক্ষমা চান, তখন কি করবেন?—জানতে চাইলে ঢাকাই ছবির এই নায়িকার বক্তব্য, ‘অনেক হয়েছে আর নয়। আমি জানি সে হয়তো আসবে। কিন্তু সে সুযোগ আর নাই। এখন আমি ওই মানুষটির ছায়াও আর মাড়াতে চাই না। এ ধরনের মানুষের জায়গা আমার কাছে আর কোনো দিনই হবে না। এ ধরনের বেইমানির জন্য আমি সংসার পর্যন্ত ভেঙে দিয়েছি। আর কী জানতে চান?’