আগামী মাসে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে দুই দিনের সফরে আগামী ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২ দেশের মধ্যে প্রায় ডজনখানেক সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে আলোচনা চলছে, যেগুলো সফরকালে সই করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমিরের বৈঠকের পর যেসব সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হবে, সেগুলো নিয়ে দুই পক্ষ এখন কাজ করছে। সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করেছে।
ঢাকা সফরকালে কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত বৈঠকে জালানির ইস্যুটিতে অগ্রগতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ওই বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি, জনশক্তি, ব্যবসা ও বাণিজ্য বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা সহযোগিতার বিষয়ে প্রায় ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যেখানে থাকতে পারে এয়ার সার্ভিস চুক্তির সংশোধন, সামুদ্রিক পরিবহণ সেবা চুক্তি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জনশক্তি রপ্তানি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সেবা চুক্তি, বিমান সেবা চুক্তির সংশোধন, সামুদ্রিক পরিবহন সেবা চুক্তি, দ্বৈত কর প্রত্যাহার, শুল্ক খাত, উচ্চশিক্ষা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যৌথ বাণিজ্য পরিষদ ও যৌথ কমিশন গঠন ইত্যাদি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বন্দি বিনিময় নিয়ে একটি সমঝোতা সই নিয়ে আলোচনা চলছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত মার্চে ঢাকা-দোহা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। আমিরের সফরে সেই সহযোগিতার বাস্তব রূপরেখা কি হবে, তা নিয়ে কথা হবে। সমঝোতা মতে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের কাতারে কাজ করার কথা। তাছাড়া দেশটির নৌ-বাহিনীর সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে, যার আওতায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাতারে কাজ করছেন।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা; অভিন্ন মূল্যবোধ, ধর্মীয় ভিত্তি, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।