পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে হইহই করে জন্মদিন পালন করার শখ থাকে সব শিশুরই। নিজের ১০ বছরের জন্মদিনটা বড় করে উদযাপন করার আহ্লাদ করেছিল পঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা মানভিও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার (৩০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে গত সপ্তাহে এ ঘটনা ঘটে।
গত ২৪ মার্চ ছিল তার জন্মদিন। এজন্য তার পরিবার পাটিয়ালার একটি অনলাইন শপ থেকে একটি কেক অর্ডার করে। ওই কেকেই বিষাক্ত কোনো উপদান মেশানো ছিল বলে অভিযোগ মানভির দাদা হারবান লালের। হারবান লাল সাংবাদিকদের বলেন, ২৪ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে কেক কাটা হয়।
অনলাইন থেকে অর্ডার করে আনা হয়েছিল পছন্দসই বার্থডে কেকও। কিন্তু, সেই কেক খেয়েই মর্মান্তিক পরিণতি হল মানভির। পঞ্জাবের পাতিয়ালার বাসিন্দা ১০ বছরের মানভি কেকে কামড় দিতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। জন্মদিনে আনা কেক থেকেই ফুড পয়েজনিংয়ের কারণে এই দুর্ঘটনা বলে মনে করছে পরিবার। জানা যায়, অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়ে আনা হয়েছিল কেকটি। জন্মদিনে কেক কাটার পর সেটি খায় মানভি ও তার বোন। জন্মদিনের রাতেই অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে দু’জনে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মানভি কেক কেটে জন্মদিন পালন করছে। পরিবারের সদস্যরা তাকে কেক খাইয়ে দিচ্ছেন। এরপর মধ্যরাত ৩টে নাগাদ আচমকাই মানভি ও তার বোন বমি করতে শুরু করে। দ্রুত তাদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা মানভিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ১০ বছরের শিশুটির ঠাকুরদা বলেন, ‘মানভির বোন বেঁচে গিয়েছে। গোটা কেকটি ও বমি করে বের করে দিয়েছিল। তাই চিকিৎসকরা ওকে বাঁচাতে পেরেছেন।’
পরিবারের অভিযোগ, তারা যে কেক অর্ডার করেছিল সেটাতেই বিষাক্ত কিছু ছিল। শিশুটির মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। বেঁচে যাওয়া কেকের একটি টুকরোও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এখন উভয় পরীক্ষার ফলাফল আসার অপেক্ষায় আছে পরিবারটি।