রাজধানীতে দিনদিন বেড়েই চলেছে বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচল। যার ফলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় বাংলাদেশ শীর্ষে রয়েছে। তবে রাজধানীর কিছু এলাকায় গভীর রাতে দেখা যায় বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর পাল্লা।
রাজধানীর পূর্বাচলের মসৃণ ৩০০ ফুট সড়কে একটু বেশি রাত হলেই একদল কিশোর-তরুণ বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর পাল্লা শুরু করে। এ কারণে প্রশস্ত এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। বাইকচালকদের নিজেদের মধ্যে বিতণ্ডা ও মারামারির কারণে এলাকাবাসী, বেড়াতে আসা মানুষ এবং এই পথে চলাচলকারীরা প্রায়ই সমস্যায় পড়ছে। পুলিশ কিছু উদ্যোগ নিলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।
সম্প্রতি ভোরের দিকে তিনজন মোটরসাইকেলে পূর্বাচল থেকে দ্রুতগতিতে মূল ঢাকা শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় ৩০০ ফুট সড়কের মাস্তুল এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলটির সংঘর্ষ হয়। এতে একজন তরুণ মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলে এবং আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সাম্প্রতিক আরেক ঘটনায় একই সড়কের রূপগঞ্জ অংশে দুই প্রাইভেট কারের সংঘর্ষে আরো দুজন নিহত হয়। প্রতি সপ্তাহেই এমন দুর্ঘটনায় কয়েকজন হতাহত হচ্ছে সড়কটিতে।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্র বলছে, সড়কটিতে মোটরসাইকেলের প্রতিযোগিতা, অতিরিক্ত গতিতে চালানো, যেখানে-সেখানে পার্কিং, উল্টো পথে গাড়ি চলাচলসহ নানা অনিয়ম ঠেকাতে অভিযান চলমান রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক গুলশান বিভাগ ও গুলশান ক্রাইম বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, দিনরাত প্রায় ২৪ ঘণ্টা সড়কের কোনো না কোনো স্থানে উচ্ছৃঙ্খল তরুণদের হৈ-হুল্লোড়, উল্টো পথে চলা এবং কার রেসিং করতে দেখা যায়। তবে মধ্যরাতের দিকে এ ঘটনাগুলো বেশি ঘটে।