আজ ২ এপ্রিল ১৭তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। এবারে প্রতিপাদ্য হল সচেতনতা – স্বীকৃতি- মূল্যায়ন: “শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা”।
অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের সম্মানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নীলবাতি প্রজ্জ্বলন করা হবে। এছাড়া অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে রোড-ব্র্যান্ডিং, বিশেষ স্মরণিকা ও লিফলেট ছাপানো হয়েছে।
দিবসটি পালন উপলক্ষে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি প্রধান অতিথি থাকবেন। সভায় সভাপতিত্ব করবেন সমাজকল্যাণ সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।
অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ১৩টি পুরস্কার দেওয়া হবে। পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- ক্যাটাগরি ‘ক’- অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সফল ব্যক্তি ক্যাটাগরিতে মুইদ হাসান, লায়লা বেগম, অহম্মেদ সিয়াম তন্ময়; ক্যাটাগরি ‘খ’- অটিজম নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান- প্রয়াস, চট্টগ্রাম, অরুণোদয়, কল্যাণী ইনক্লুসিভ স্কুল; ক্যাটগরি ‘গ’ প্রতিবন্ধিতা উত্তরণে কাজ করে এমন ব্যক্তি- অধ্যাপক ডা. মাহমুদ আহমেদ চৌধুরী আরজু, সুমন মজুমদার, আলমগীর হোসাইন; ক্যাটাগরি ‘ঘ’ সফল বাবা-মা আশরাফুন নাহার ও আশরার বিল্লাহ খান এবং ক্যাটাগরি ‘ঙ’ সফল কেয়ার গিভার মারজাহান বেগম ও সাজেদা আক্তার।
বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে সোমবার (১ এপ্রিল) আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস, অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু-কিশোরদের সম্ভাবনাগুলোকে চিহ্নিত করে সঠিক পরিচর্যা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও স্নেহ-ভালোবাসা দিয়ে মানবিক পরিবেশে গড়ে তোলা হলে তারাও পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১৭তম ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২৪’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু, ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্য, পরিচর্যাকারী, অটিজম বিষয়ক গবেষক, শিক্ষক, চিকিৎসক, থেরাপিস্ট, সহায়ক উপকরণ উদ্ভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসএ্যাবিলিটি (এনডিডি) বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তিদের যথাযথ পুনর্বাসনে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথ আরো প্রসারিত হবে- এটাই সকলের প্রত্যাশা।