পাবনার রূপপুরে শেষের পথে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। এরইমধ্যে প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ। বর্তমানে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় ১২০০ মেঘাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুইটি ইউনিট এর নির্মাণ কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে, প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্ট আপ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শুরু হবে। বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে ইউনিট-১ এবং ইউনিট-২ থেকে আগামী ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে।
এমন বাস্তবতায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্প এলাকায় নতুন আরেকটি ২ ইউনিটের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ। প্রাথমিক পর্যায়ে কারিগরি সমীক্ষা শুরুর প্রস্তাবও দিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাশিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন –রোসাটম এর মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ।
সৌজন্য সাক্ষাতের সময় রোসাটম ডিজি নতুন দুটি ইউনিটের নির্মাণ কাজ শুরু করতে কারিগরি সমীক্ষা দ্রুততম সময়ে শুরু করার প্রস্তাব করেন। একইসাথে তিনি জানান, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার প্রায় আড়াই হাজার জনশক্তি কাজ করছে। তারা এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রোসাটম মহাপরিচালককে বাংলাদেশি এসব দক্ষ মানব সম্পদকে অন্য পারমাণবিক প্রকল্পে কাজে লাগানোর অনুরোধ জানান।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি রাশান ফেডারেশনে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাশান ফেডারেশন সরকার আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি সই করেছে।