আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে গড়াবে টি-২০ বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেবে ২০টি দল। যা সীমিত ওভারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দলের অংশ গ্রহণ। তবে বিশ্বকাপের আগে ব্যবস্থাপনাজনিত অনিয়মের কারণে সমালোচনার মুখে আছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসি)।
যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের চলমান পরিস্থিতিতে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দেশটির অলিম্পিক অ্যান্ড প্যারালিম্পিক কমিটি (ইউএসওপিসি)। একই সঙ্গে বোর্ডটির ওপর ক্ষুদ্ধ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি)।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসির পূর্ণ সদস্যদের অনেকেই নাকি যুক্তরাষ্ট্রকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে। আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে বলে এই মুহূর্তেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না আইসিসি। ২৯ জুন টুর্নামেন্ট শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে সম্ভাবনা রয়েছে।
ইউএসএসির চলমান অস্থিরতার কারণ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর মুরাদের অব্যাহতি। অলিম্পিক কমিটি মনে করে, ইউএসএসির বোর্ড পরিচালকেরা বোর্ডের দৈনন্দিন কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছেন। নুর মুরাদকে সরিয়ে দেওয়া যার সর্বশেষ নজির। গত ১৫ মার্চ বোর্ড মিটিংয়ের পর আইসিসিও ইউএসএ ক্রিকেটকে শৃঙ্খলা বহালের বিষয়ে কড়া সতর্কতা দিয়েছে। ইউএসএসির সিইও পদের জন্য ড. নূর মুরাদকে আইসিসিই সুপারিশ করেছিল। যদিও তার কর্মকাণ্ডে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ক্ষুব্ধ হওয়ায় কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাকি থাকতে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়। তবুও ইউএসএ ক্রিকেট ডা. মুরাদকে পুনর্বহালের চেষ্টার ঘটনা আইসিসির ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে দেয়।