পূর্বাঞ্চলীয় থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী একটি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারাতে যাচ্ছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। জান্তার জন্য এটি আরও একটি বড় পরাজয় কারণ এই শহরটি হল থাইল্যান্ডের সঙ্গে মায়ানমারের স্থল বাণিজ্যের কেন্দ্রস্থল মায়াওয়াদ্দি।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের যেসব ব্যবসা-বাণিজ্য হয়, তার বেশিরভাগই এই সীমান্ত শহর দিয়ে হয়ে থাকে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অন্য বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর সঙ্গে মিলে এই শহরে হামলা চালিয়ে আসছিল কারেন বিদ্রোহীরা। হামলায় টিকতে না পেরে মায়াওয়াদ্দির নিরাপত্তায় নিয়োজিত শত শত সেনা শেষ পর্যন্ত আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।
আত্মসমর্পণের সময় নিজেদের উচ্ছ্বসিত যোদ্ধাদের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে কারেন যোদ্ধারা। ওই ভিডিওতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ অস্ত্রাগারও দেখিয়েছে তারা।
গেল কয়েক মাসে শান রাজ্যের চীন সীমান্তবর্তী বিশাল এলাকা এবং আরাকান রাজ্যের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকেও জান্তা বাহিনীকে উৎখাত করেছে জান্তা বিরোধী বিদ্রোহী জোটের যোদ্ধারা।
এই সংঘাতে হাজারো জান্তা সেনা ইতিমধ্যে নিহত হয়েছেন। অনেকে আত্মসমর্পণ করেছেন আবার অনেকে বিরোধীদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। তাই সেনা ঘাটতি পূরণ করতে সাধারণ মানুষের ওপর বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা চাপিয়ে দিয়েছে জান্তা। এছাড়াও দেশটির রাখাইনের রোহিঙ্গা পুরুষদেরও জোরপূর্বক সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে যদিও তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব নেই।