প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ স্কাউটস প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি সহপাঠ্যক্রম হিসেবে স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আদর্শ নাগরিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় কাজ করে যাচ্ছে। স্কাউটিংকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
’ আজ ‘বাংলাদেশ স্কাউটস দিবস’ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৮ এপ্রিল দেশব্যাপী স্কাউটস দিবস উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উপলক্ষে স্কাউটস সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের থিম ‘‘স্মার্ট স্কাউটিং, স্মার্ট সিটিজেন’’ যা সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ স্কাউটসকে সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করেন। তার অনুপ্রেরণা এবং উদ্যোগের ফলে ১৯৭৪ সালের ১ জুন ১০৫তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস বিশ্ব স্কাউট সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে। জাতীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ স্কাউটস’র বিস্তৃতি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জনে বঙ্গবন্ধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
আজকের কিশোর, তরুণ ও যুবকরাই আগামীর বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশ স্কাউটসের সোনালি পথচলায় ৫০ বছর অতিক্রম করে ২০২২ সালে আমরা উদযাপন করেছি বাংলাদেশ স্কাউটসের সুবর্ণজয়ন্তী। প্রতিকূল পরিস্থিতি বা দুর্যোগে সাড়া দেওয়াই স্কাউটিংয়ের উদ্দেশ্য। স্কাউটিংয়ে বিভিন্ন সময় এ প্রশিক্ষণগুলোই দেওয়া হয়।
পাশাপাশি শিশু, কিশোর ও যুবাদের শারীরিক, মানসিক, আধ্যাত্মিক, বুদ্ধিবৃত্তিকসহ বিভিন্ন দিকের পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনে স্কাউটিং কাজ করে থাকে। একজন মানবিক মানুষ হিসাবে অন্যের বিপদে এগিয়ে যেতে হবে। তাই দেশের প্রতিটি দুর্যোগে স্কাউট ও রোভার স্কাউট সদস্যরা সেবার মন্ত্রে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায়।
আওয়ামী লীগ সরকার শিশু-কিশোর, যুবকদের প্রযুক্তি জ্ঞাননির্ভর দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান শেখ হাসিনা।