ঈদের দিন ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের চলমান বিমান হামলায় হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি প্রাণ হারিয়েছেন।
গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হানিয়ে আজ বৃহস্পতিবার আল-জাজিরাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হানিয়ার ছেলেদের লক্ষ্য করে, আজ পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাজার উত্তরপূর্বাঞ্চলের শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে হামলা চালানো হয়।
ঈসমাইল হানিয়া আলজাজিরাকে জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষ্যে আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে শাতি শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছিলেন তার ছেলেরা। ওই সময় হামলা চালানো হয়। এতে তার কয়েকজন নাতি-নাতনিসহ তার তিন ছেলে হাজেম, আমির এবং মোহাম্মদ প্রাণ হারিয়েছেন।
তবে সন্তানদের মৃত্যুতে বিচলিত হননি হামাস প্রধান। আলজাজিরাকে তিনি বলেছেন, “শহীদদের রক্ত এবং আহতদের যন্ত্রণার মাধ্যমে আমরা আশা তৈরি করি, আমরা ভবিষ্যৎ তৈরি করি, আমরা আমাদের মানুষ ও জাতির জন্য স্বাধীনতা ও মুক্তি তৈরি করি।” হামাস প্রধান দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, নেতাদের বাড়িঘর ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে হামাসকে থামানো যাবে না।
তিনি বলেছেন, “যদি তারা মনে করে আমাদের সন্তানদের লক্ষ্য করার মাধ্যমে এই মুহূর্তে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন করা যাবে, তাহলে তারা ভ্রান্তিতে আছে।” ফিলিস্তিনের সন্তানদের চেয়ে আমার সন্তানদের রক্তের মূল্য বেশি নয়। ফিলিস্তিনের সকল শহীদ আমার সন্তান।
ইসমাইল হানিয়ার পরিবার-পরিজন গাজাতে থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তিনি কাতারে বসবাস করেন। সেখান থেকেই দলটির সব কার্যক্রম পরিচালনা করেন তিনি।