সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানীতে ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে শীর্ষস্থানীয় ইরানি কয়েকজন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলে এরই মধ্যে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কার মধ্যেই এবার ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইরান হামলা করলে ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কার মধ্যে ইসরায়েলকে ‘লোহার মতো দৃঢ়’ মার্কিন সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, দশ দিন আগে ইসরায়েল সিরিয়ায় ইরানি কনস্যুলেটে হামলার পর তেহরান ‘ব্যাপক আক্রমণের’ হুমকি দিচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য আমরা যা যা করতে পারি, সেটাই করব।’
এর আগে বুধবার ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, দামেস্কে ইসরায়েলি হামলা ইরানের ওপর হামলার সমতুল্য। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘যখন তারা আমাদের কনস্যুলেট এলাকায় আক্রমণ করেছে, তখন এর মাধ্যমে তারা আমাদের ভূখণ্ডেই আক্রমণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই অশুভ সরকারকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে, এবং তারা শাস্তি পাবে।’
এর আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলায় ইরানের সিনিয়র সামরিক নেতাসহ ১৩ জন নিহত হন। ইসরায়েল অবশ্য সেই হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে তারাই এই হামলার পেছনে রয়েছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এরপর থেকে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার আশঙ্কায় ওই অঞ্চলে মার্কিন ও ইসরায়েলি বাহিনীকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে। এমন অবস্থায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে পাশে নিয়ে বুধবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
তিনি বলেন, ‘যেমনটা আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে বলেছি, ইরান এবং এর প্রক্সি বাহিনীগুলোর হুমকি থেকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা রক্ষায় আমাদের প্রতিশ্রুতি লোহার আবরণের মতো দৃঢ়। আমি আবারও বলছি, লোহার আবরণের মতো দৃঢ়।’
এদিকে ইরান থেকে কোনো হামলা হলে দেশটিতে সরাসরি হামলার হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বুধবার হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান থেকে ইসরায়েলে সরাসরি কোনো হামলা হয় তাহলে তারাও পূর্ণ শক্তি দিয়ে ইরানে হামলা চালাবে।