ঢাকা সদরঘাটে এক লঞ্চের সাথে আরেকটি লঞ্চের ধাক্কায় নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক দম্পতি এবং তাঁদের চার বছরের একমাত্র সন্তান রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলের দিকে সদরঘাটের ১১নং পন্টুনের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মরদেহ মিডফোর্ড হাসপাতালে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
ফায়ার সার্ভিসের সদরদপ্তরে মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় এমভি তাশরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে গেলে পাঁচজন যাত্রী লঞ্চে উঠার সময় গুরুতর আহত হন। সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের মিটফোর্ড হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া হয়।
গুরুতর আহত অবস্থায় সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে করে আহতদের মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্তত পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন রয়েছেন। তাঁরা হলেন, মো. বেলাল (৩০), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাঁদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। তাঁর গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায়।
নিহত অপর দুজন হলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের তরুন রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।