গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের আদালত। শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্যের অভিযোগে করা মামলায় এ পরোয়ানা জারির আদেশ হয়েছে।
ওই মামলায় দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জহিরুল কবির এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে থাকা তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১৪ জুন একই আদালতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক উপ–আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার ইয়াছির আরাফাত তানিম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ (১), ২৯ (১) ও ৩১ ধারায় করা ওই আবেদন গ্রহণ করে আদালত পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ১ জুন ঢাকায় ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের এক অনুষ্ঠানে নুরুল হক নুর তৎকালীন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং ছাত্রলীগকে নিয়ে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য করেন। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নুর শিক্ষা উপমন্ত্রীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগেরও সম্মানহানি করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আদালতের আদেশের বিষয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, গত ৬ ফেব্রুয়ারি সিআইডির চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা ইউনিটের উপ–পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল করিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জানান, আজ মামলাটির ধার্য তারিখ ছিল। আদালতে সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। আদালত প্রতিবেদনে আনা অভিযোগ গ্রহণ করে শুনানি শেষে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।