ভাষানটেক এলাকায় আগুনে দগ্ধ হয়ে সবশেষ মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম মো. লিটন চৌধুরী (৫২)। আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ নিয়ে এ ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
এ ঘটনায় দুই নারীসহ মোট তিনজনের মৃত্যু হলো। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম। তরিকুল ইসলাম বলেন, ভাষানটেক থেকে আসা দগ্ধ লিটন (৪৮) নামে আরও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান লিটনের স্ত্রী সূর্য বানু (৩০) এবং শনিবার সকাল ৮টার দিকে মারা যান লিটনের শাশুড়ি মেহেরুন্নেছা (৬৫)।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, মিরপুরের ভাষানটেক থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারী শিশুসহ ছয়জনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছিল।
তিনি বলেন, একই ঘটনায় লামিয়ার (৭) শরীর ৫৫ শতাংশ, লিজার (১৮) শরীর ৩০ শতাংশ ও সুজনের (৮) শরীর ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়। তারা সবাই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। শরীরের বেশি অংশ পুড়ে যাওয়ায় তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।