ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে দিন দুয়েক আগেই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এ ঘটনায় পুরো মধ্যপ্রাচ্যেই এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইরান। জবাবে ইসরায়েলও প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় খুঁজছে।
মার্কিন গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরানের প্রতিশোধমূলক আক্রমণের পর ইসরায়েলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া ‘আসন্ন’ হতে পারে। ইরানের এমন হামলার ঘটনায় ইসরায়েল যে চুপ করে বসে থাকবে না তা খুব ভালো ভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় ইরানের ওপর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। যদিও এতে আঞ্চলিক এই সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
সিরিয়ার রাজধানীতে তেহরানের কনস্যুলেটে সাম্প্রতিক হামলার জবাবে শনিবার গভীর রাতে তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইরান এই হামলা চালায়। যদিও বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয়েছে বলে ইসরায়েল দাবি করেছে, তারপরও উত্তেজনার আরও বৃদ্ধি হতে পারে বলে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে।
ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কেএএন বলেছে, তেল আবিব ‘সীমিত প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর পরিকল্পনা করছে, যা ইরানকে সর্বাত্মক যুদ্ধ এড়াতে সুযোগ দেবে। ইসরায়েল গাজা উপত্যকাকে প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে রাখতে চায় এবং ইরানকে যুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্টে পরিণত করতে চায় না।