ইসরায়েল যদি আক্রমণ চালায় তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ইরান জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
গত শনিবার রাতভর ইসরায়েলে প্রায় ৩০০ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এই হামলার একদিন পর ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন জরুরি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তেলআবিব।
মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ‘‘আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিচ্ছি যে, ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে যে কোনও অপরাধীর ন্যূনতম পদক্ষেপ অবশ্যই কঠোর, বিস্তৃত এবং বেদনাদায়ক প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে মোকাবিলা করা হবে।’’
ইরানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদি তারা (ইসরায়েল) আমাদের দূতাবাসের কনস্যুলার বিভাগে হামলা না চালাত, তাহলে এই সুযোগ আসত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, ইহুদিবাদী রাষ্ট্রের সরকার যদি যথেষ্ট বুদ্ধিমান হয়, তবে তারা আর এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না। কারণ, ইরান অতি দ্রুত আঘাতের মাধ্যমে সেই ভুলের আরও কঠোর জবাব দেবে।’
একই দিন রাতে ইরানের উপপরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী বাঘেরি কানি দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ইসরায়েলের যেকোনও ধরনের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে তেহরানের পাল্টা আক্রমণ ‘‘মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার হবে’’। ইরার এবার জবাব দেওয়ার জন্য আর ১২ দিন অপেক্ষা করবে না।
অন্যদিকে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ফজল শেকারচি ইহুদিবাদী ইসরায়েলের শাসকগোষ্ঠীর অপরাধযজ্ঞের পক্ষে অবস্থান না নিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানদের পুনরায় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, শিশু-হত্যাকারী ইসরায়েলের সন্ত্রাসী শাসকগোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করুন।
গত ১৩ এপ্রিল ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।
দামেস্কে হামলার প্রতিশোধে ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করার দাবি জানিয়েছে তেলআবিব।