আগামী ২৪ এপ্রিল ছয় দিনের এক রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন যার মধ্যে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সিনিয়র কর্মকর্তা এবং সচিব অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানাবেন। একইসঙ্গে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। একইদিন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গভর্নমেন্ট হাউসে প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
একই দিন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
এই সফরে শেখ হাসিনা ইউনেসক্যাপ-এর কমিশনের ৮০তম অধিবেশনে যোগদান করবেন। তিনি ২৪ এপ্রিল ইউনেসক্যাপ-এ একটি বক্তৃতা দেবেন। একই দিন জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং এশিয়া ও প্যাসিফিকের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের এসকেপের নির্বাহী সচিব আরমিদা সালসিয়াহ আলিসজাবানা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
থাইল্যান্ডে শেখ হাসিনার এই দ্বিপাক্ষিক সফর হবে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকার প্রধান পর্যায়ের প্রথম সফর। বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ড উভয়ের জন্যই এই সফরটি তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার খুলে দেবে।
আগামী ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।