Top Newsরাজনীতি

বিএনপির সময়ে খাদ্যে ঘাটতি ছিল; দেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ

মোহনা অনলাইন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন খাদ্য পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য। খালেদা জিয়া দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল দেশের মানুষকে ডালভাত খাওয়াবে। সেই ডালভাত খাওয়াতেও ব্যর্থ হয়েছিল।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী-২০২৪ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমার কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করবো।

তিনি বলেন, ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফখরুদ্দিন সাহেব প্রধান উপদেষ্টা, ইয়াজউদ্দিন সাহেব রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান মইন উদ্দিন- তারা ঘোষণা দিলেন আলু খাওয়ার জন্য। আলু দিয়ে নানা রকমের খাদ্য তৈরি করা হলো, তা প্রদর্শন করা হলো বেশ উন্নত হোটেলে। মানুষ ভাত পাচ্ছে না কী হয়েছে, আলু খাবে! কেউ আমাদের ডালভাত খাওয়াতে চাইলো, কেউ আমাদের আলু খাওয়াতে চাইলো।

শেখ হাসিনা বলেন, মাছে ভাতে বাঙালি আমরা। মাছ ও ভাত পেলেই আমাদের যথেষ্ট। সেটাই তো আমরা চাই। এখন অন্তত বলতে পারি মাছ-ভাতের অভাব নেই। ডাল-ভাতেরও অভাব নেই। মানুষের চাহিদা এখন মাংস, আরও বড় বড় মাছ খাবে। এখন প্রায় ৪০ ভাগ আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারি। আমরা কারো উপর মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবো না। আমরা নিজেরা উৎপাদন করবো।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি পূরণ করেও বাংলাদেশকে আমরা উদ্বৃত্ত খাদ্যের দেশে উন্নীত করি। পার্লামেন্টে যেদিন আমি ঘোষণা দিলাম যে, আজ থেকে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ সেই দিন বিএনপি বিরোধী দলে, খালেদা জিয়া বিরোধী দলের চেয়ারে বসা। তার অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান উঠে দাঁড়িয়ে বললো—খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না, তাহলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের চিন্তাধারাটা ছিল, আমরা প্রতিনিয়ত অন্যের কাছে হাত পেতে চলব। অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব আর ভিক্ষা চেয়ে খাবার এনে খাব। যেখানে জাতির পিতা বলে গেছেন, আমাদের মাটি আছে, সোনার মাটি। আমাদের ফসল আমরা ফলাবো এবং আমরা তা প্রমাণ করেছি।’

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button