গতকাল মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি। বৃষ্টিহীন এপ্রিলে দেশ জুড়ে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে; যাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।
সারাদেশে হিট স্ট্রোকে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে চট্টগ্রামে ১ জন, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা একজন করে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা নেই; বরং তাপমাত্রা একই রকম থাকবে, সঙ্গে বাড়বে গরমও।
তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। শনিবার (২০ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়াও তাপদাহে পাবনা শহরে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি হিট স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
চট্টগ্রামে মৃত্যু হয় আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের উত্তর পরুয়াপাড়ার ছালেহ আহমেদের (৭০)। তার মৃত্যু হয় আনোয়ারা হলি হেলথে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, হিট স্ট্রোকের কারণে ছালেহ আহমেদের মৃত্যু হয়েছে।