ইসরায়েল, ইউক্রেন ও তাইওয়ানকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি প্রতিনিধি পরিষদে বিল পাস হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোটাভুটির পর মার্কিন আইনপ্রণেতারা বহুল আলোচিত ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের এই বিল অনুমোদন করেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। মূলত রিপাবলিকান কট্টরপন্থিদের তিক্ত আপত্তির মধ্যেই বিস্তৃত দ্বিদলীয় সমর্থনে এই বিল পাস হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাসের পর বিলটি এখন ডেমোক্র্যাটিক-সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটে চলে গেছে। দুই মাসেরও বেশি আগে একই ধরনের একটি ব্যবস্থা পাস করেছিল মার্কিন সিনেট।
এরপর থেকে ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে শীর্ষ সিনেট রিপাবলিকান মিচ ম্যাককনেল পর্যন্ত মার্কিন নেতারা রিপাবলিকান হাউসের স্পিকার মাইক জনসনকে সহায়তার বিষয়টি নিয়ে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন।
শনিবার পাস হওয়া ইউক্রেনের জন্য বিলটিতে দেশটিকে ৬০.৮৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মার্কিন অস্ত্র, মজুত এবং অন্যান্য সুবিধা পুনরায় পূরণ করতে ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়া হবে।
ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ভোট পড়ে ৩১১টি। বিপক্ষে ১১২ ভোট পড়ে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই বিল পাস হওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাস হওয়া বিলটিতে ইসরায়েলের জন্য ২৬ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে মানবিক প্রয়োজন পূরণে দেশটিকে ৯,১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেবে দেশটি।
এছাড়া এই সহায়তার আওতায় ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তার পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও উন্নত করবে ওয়াশিংটন। আর তাইওয়ান-সহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য ৮.১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দেবে জো বাইডেনের প্রশাসন।
বিল দুটি বাস্তবায়নে এখন মার্কিন সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। রয়টার্স বলছে, মার্কিন সিনেট আগামী মঙ্গলবার বিকেলে প্রাথমিক ভোটের মাধ্যমে নিম্নকক্ষ হাউসের পাসকৃত বিলটি বিবেচনা করা শুরু করবে। পরের সপ্তাহে বিলটি সিনেটে চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। আর এরপরই প্রেসিডেন্ট বাইডেন বিলে সই করবেন। এর ফলে তা আইনে পরিণত হবে।