আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে পকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিরোধী দল উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে।
দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে উচ্চতা, এটা দেখে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত। বাংলাদেশ যখন পূর্ব পাকিস্তান ছিল, পাকিস্তানি নেতাদের কাছে বোঝা মনে হতো। সেই বোঝাই এখন উন্নতিতে অনেক এগিয়ে গেছে। যা দেখে তারা লজ্জিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যখন সরকারের উন্নয়ন দেখে সমালোচনা করে, তাদের পাকিস্তানের মন্তব্য থেকে শিক্ষা নিতে পারে। দেশের উন্নয়নে তারা অন্ধকার দেখতে পায়। হীন মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছে। পাক বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত। তারা কথায় কথায় ডামি নির্বাচন বলে। অথচ তারা নিজেরাই ডামি রাজনৈতিক দলে পরিণত। তারা মনে করেছিল তারা অংশ না নিলে সরকার বৈধ হবে না। অথচ ঘটেছে বিপরীত।
মন্ত্রী বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে লিফলেট বিতরণে নেমে আসা দেখেই বোঝা যায় বিএনপির আন্দোলনের অবস্থা। নির্বাচনে ফিরে না আসলে বিএনপি দল হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। বিএনপিকে ছাড়াই দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ভালোভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, মানুষের কাছে ভুয়া তথ্য দিয়ে নিজেদের দলকে ছোট করবেন না। বিএনপি যে ৬০ লাখ লোকের কথা বলে, কারাগারের ধারণ ক্ষমতাই তো এতো না! তাহলে কীভাবে এই তথ্য তারা দেয়।
সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধের কারণে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি- হামাস, ইসরাইল, ইউক্রেন, রাশিয়া বিশ্বকে উত্তপ্ত করে ফেলেছে। বিশ্বের জনমতকে উপেক্ষা করে, বিশ্বজুড়ে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।